শেষমেশ আশঙ্কাকে সত্যি করে কাশীর বিতর্কিত জ্ঞানবাপী মসজিদ থেকে সম্প্রতি উদ্ধার হয়েছে শিবলিঙ্গ। দীর্ঘদিন ধরেই যে মসজিদ নিয়ে বিতর্ক ছিল। তবে এবার উপাস্য দেবতার লিঙ্গ খুঁজে পেয়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের তরফে সেই বিতর্কের স্ফুলিঙ্গ আরও বেড়েছে বই কমেনি। তাঁদের অভিযোগ, এই মসজিদ আগে হিন্দু মন্দির ছিল। পরে, তা ভেঙে মসজিদ করা হয়। হিন্দু-মুসলিম এই তরজার রেশ গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট অবধি। এবার সেই জলন্ত ইস্যু নিয়েই মুখ খুললেন কঙ্গনা রানাউত।
কঙ্গনা বরাবরই স্পষ্টভাষী এবং স্বঘোষিত গেরুয়া-পন্থীও বটে! একাধিকবার সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। যার জেরে বরখাস্ত হয়েছেন টুইটার থেকেও। এবার জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া শিবলিঙ্গ ইস্যু নিয়ে কথা বললেন তিনি। আগামী ছবি 'ধাকড়'-এর প্রচারের জন্য বারাণসিতে গিয়েছিলেন কঙ্গনা। সেখানেই তাঁকে এপ্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে, সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে 'বলিউড ক্যুইন' জানান, "মথুরার প্রত্যেকটা জিনিসে যেমন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বিরাজ করেন, ঠিক তেমনই অযোধ্যার সবজায়গাতেই রাম রয়েছেন। সেরকমই কাশীর সর্বত্রই ভগবান শিবের বিরাজ। এর জন্য আলাদা করে কোনও কাঠামোর দরকার পড়ে না।"
<আরও পড়ুন: রমরমিয়ে চলছে ‘অপরাজিত’, তবুও নন্দনে ঠাঁই হল না, ‘আক্ষেপে’ শহরের অন্য প্রেক্ষাগৃহে ভিড় দর্শকদের>
প্রসঙ্গত, ২০ মে রিলিজ করছে 'ধাকড়'। তার আগেই সহ-অভিনেতা অর্জুন রামপালকে নিয়ে বারাণসিতে যান কঙ্গনা। অভিনেত্রীর যে বেজায় ঈস্বরে মতি-গতি, তা তার সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই বোঝা যায়। এই উত্তরের কোনও মন্দিরে ছুটছেন, তো আবার দিন কয়েক বাদেই দক্ষিণী রাজ্যের মন্দিরে গিয়ে পুজো দিচ্ছেন একেবারে ঘরের মেয়ের মতোই। কোনওরকম তারকাসুলভ আচরণ নেই। এবার জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্ক নিয়েও নিজের মতামত ব্যক্ত করলেন তিনি।
উল্লেখ্য, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো বহু বছর আগে থেকেই স্লোগান তুলছিল, ‘অযোধ্যা পে ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়।’ এবার কার্যত হিন্দুত্ববাদীদের নৌকোর পালেই জোয়ার লেগেছে। জ্ঞানবাপী মসজিদে মিলেছে ‘শিবলিঙ্গ’। আর, যেখানে ‘শিবলিঙ্গ’ পাওয়া গিয়েছে, সেখানে পুজো করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন পাঁচ মহিলা। যার প্রেক্ষিতে দিন দুয়েক আগেই দেশের শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, মুসলিমদের প্রবেশ ও উপাসনার অধিকারকে খর্ব না করে যেখানে ‘শিবলিঙ্গ’ পাওয়া গিয়েছে সেই অঞ্চলটিকে রক্ষা করতে হবে। বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ফের সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি রয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন