'হাসিনার দুঃশাসনের সমাপ্তি হল...', এমনটাই বলেছিলেন তসলিমা নাসরিন। কিন্তু ভারতের বিতর্কিত কুইন কেন পিছিয়ে থাকবেন নিজের মন্তব্য রাখতে? হাসিনা বাংলাদেশে ছেড়ে আসতেই কঙ্গনা রানাউত ভারতকে সুরক্ষিত দেশ বলে ঘোষণা করলেন।
দেশ ছেড়ে আপাতত দিল্লিতে পৌঁছনোর খবর মিলছে হাসিনার। তারপর যেতে পারেন লন্ডন কিংবা বেলারুশে। সেনা প্রধান জানিয়েছেন, তাঁরা সমস্ত খুনের বিচার করবেন। আপাতত, সেনাশাসনের অধীনে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে যে সম্মান কঙ্গনা দেখাচ্ছেন তাতে অবাক হতে হয়। কী বলছেন অভিনেত্রী?
কঙ্গনা, এখন অভিনেত্রীর পাশাপাশি মান্ডি লোকসভার সাংসদ। রাজনীতিতে পা রেখেই তাঁর বক্তব্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর এবার তো চারপাশের ইসলামিক দেশগুলির মাত্র সুরক্ষিত মাতৃভূমি হিসেবে ভারতকে চিহ্নিত করলেন তিনি। কঙ্গনা বলছেন, "ভারত- ই আসলে আমাদের চারপাশে ইসলামিক দেশগুলির সুরক্ষিত মাতৃভূমি। গর্বিত যে আমরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে গ্রহণ করতে পারলাম এবং রক্ষা করতে পারলাম। এখন কই গেল যারা ভারতীয় হয়েও বারবার জিজ্ঞাসা করে যে হিন্দু রাষ্ট্র কেন গঠন করবেন? রাম রাজ্য কেন থাকবে?"
এখানেই শেষ নয় কঙ্গনা জানিয়ে দেন শেখ হাসিনা এই কারণে ভারতবর্ষে এসেছেন কারণ এখানে তিনি সুরক্ষিত। সংসদের কথায়, "সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি কি জানেন? মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী ভারতে সুরক্ষিত বোধ করেন। জয় শ্রী রাম। আপনারা কি মনে করেন, আফগানিস্তান, ব্রিটেন, বাংলাদেশ, ধরনের ইসলামিক দেশ গুলিতে মুসলিমরা সুরক্ষিত? ব্রিটেনে আগুন কে জ্বালাচ্ছে? ইংল্যান্ডে তো হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরাও বাস করে। তারা সে দেশের মন্ত্রী বড় কোম্পানির সিইও হতেই পারেন, কিন্তু তারা সে দেশ ধ্বংস করতে পারবেন না।"
অভিনেত্রী তার মন্তব্যের সঙ্গে আরও যোগ করেন, "আপনাদের কি মনে হয় সত্যিই এই বিশ্বে হিন্দু রাষ্ট্রের প্রয়োজন নেই? নিজেদেরকে একবার জিজ্ঞাসা করুন। যদি আপনাদের একটুও মনুষ্যত্ব বেঁচে থাকে, তাহলে উত্তরটা হ্যাঁ হওয়া উচিত।"
দেশের সাধারণ মানুষ তো বটেই, তবে সঙ্গ দিয়েছিলেন অনেকেই। তারকারাও সামিল হয়েছিলেন সেই পদযাত্রায়। আর আজ, যেন দ্বিতীয় স্বাধীনতার আশ্বাস পেলেন তাঁরা। গণভবনে, ঢুকে পড়েন তারা। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙার মত দৃশ্য দেখতেও পাওয়া গেল।