প্রথম থেকেই উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। ট্রেলার রিলিজের পর থেকেই কঙ্গনা বারবার জানিয়েছিলেন নিজের জয়ার চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে। এক সাক্ষাৎকারে কেঁদেও ফেলেছিলেন অভিনেত্রী। শুক্রবার বড়পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে 'থালাইভি'। উত্তেজনা আর আবেগ দুই-ই ধরে রাখতে পারছেন না কঙ্গনা। সেই প্রেক্ষিতেই জানালেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা।
কী বললেন অভিনেত্রী? একরকম আবেগের সুরেই বলেন, "চরিত্রকে বাস্তবায়িত করতে গেলে আগে তাকে মন প্রাণ দিয়ে ভালবাসতে হয়। সেই চরিত্রের ভেতরে না ঢুকলে বোঝাই যায় না কী রকম কী করা উচিত। আর যেহেতু এটি একজন মানুষের জীবনীভিত্তিক সেই কারণে মানসিকতা দক্ষতার সঙ্গে বোঝার বিষয়টি উপেক্ষা করা যায় না। জয়ার চরিত্রের সঙ্গে প্রেম, রাজনীতি এবং কিছু অন্ধকার সত্য সবকিছুই জড়িয়ে আছে। নিজেকেই সাবলীল করতে হয় চরিত্র অনুযায়ী। যতক্ষণ না মন থেকে নিজেকে জয়া ভাবতে পেরেছেন ততক্ষণ মনের আনন্দ, ক্ষত কিছুই পর্দায় ফুটিয়ে তোলা যায়নি "।
আরও পড়ুন পর্নকাণ্ডে স্বামী রাজ কুন্দ্রা জেলে, বাড়িতে ‘গণপতি আরাধনা’ শিল্পা শেট্টির
সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, এটি তাঁর কেরিয়ারের শ্রেষ্ঠ ছবি। এবং জয়ার চরিত্রটি তাঁর মনের খুব কাছের। খুবই ব্যক্তিগত পরিকল্পনার মধ্যে দিয়েই নিজেকে তৈরি করেছিলেন তিনি। জয়ললিতার কাছের মানুষদের সঙ্গেও সময় কাটিয়েছেন তাঁকে বুঝতে। তাঁর অনুপস্থিতিতেও যেন এর বাস্তবায়ন সঠিক হয় সেই দিকে কড়া নজর ছিল কঙ্গনার। মনের আকাঙ্খা থেকে দুর্বলতা সবকিছুই বোঝার চেষ্টা করেছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রভাব নিজের মধ্যে বাড়িয়ে তুলতে কোনও খামতি রাখেননি।
তবে বাস্তবে দুজনের মধ্যে বেশ কিছু মিল আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। দুজনেই চারিত্রিক ভাবে দাপটে, অন্যায় সহ্য করতে পারেন না। আবার দুজনেই ধর্মের প্রতি ঘোরতর বিশ্বাসী। ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কে অবগত। জীবনে দারুণ দারুণ চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন রুপোলি পর্দায়। বাস্তব চরিত্রে তাঁর অভিনয় ভীষণ প্রশংসনীয়। এবার জয়ার চরিত্রে প্রেম এবং রাজনীতির প্রকাশ ঠিক কেমন হয় সেই অপেক্ষাই সকলের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন