পাকিস্তানের মাটিতে দাঁড়িয়ে কিনা পাক সরকারকেই তীব্র আক্রমণ! জাভেদ আখতারের বুকের পাটা দেখে বাহবা ভারতীয়দের। এদিকে অতীতের তিক্ত, কটাক্ষবাণ, মানহানি মামলা সব ভুলে আখতার সাহেবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কঙ্গনা রানাউত।
"২৬/১১-র তারিখটা ভোলেনি ভারত। মুম্বই হামলার বিষয়টা কিন্তু আজও সকলের মনে তরতাজা। সেই হামলাকারীরা নরওয়ে কিংবা ইজিপ্ট তেকে আসেনি। যারা হামলা চালিয়েছিল কিংবা সেই হামলা যাদের মস্তিষ্কপ্রসূত, তারা আজও পাকিস্তানে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই ভারতীয়দের রাগ পুষে রাখার যথেষ্ট কারণ রয়েছে..", লাহোরে আয়োজিত সাহিত্য উৎসবে দাঁড়িয়ে এমন কড়া ভাষাতেই পাক সরকারের উদ্দেশে তোপ দাগলেন জাভেদ আখতার। এখানেই অবশ্য থামেননি তিনি।
পাক শিল্পীরা ভারতে যে মর্যাদা পেয়েছেন, পাকিস্তানের মাটিতে কখনও ভারতীয় শিল্পীদের সেই মানসম্মান দেওয়া হয়নি.. এমন শোনা যায় কবি-গীতিকার জাভেদের মুখে। জাভেদ বলেন, "আমরা পাকিস্তানি শিল্পী নুসরত ফতেহ আলি-সহ অন্যান্য শিল্পীদের নিয়ে ভারতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। কিন্তু আপনারা কখনও লতা মঙ্গেশকরের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেননি।.." উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে সে দেশের শিল্পীদেরও নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভারতে। এবার সেই প্রেক্ষিতেই লাহোরের দাঁড়িয়ে শব্দবাণে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করলেন জাভেদ আখতার। যা শুনে প্রশংসায় পঞ্চমুখ কঙ্গনা রানাউত।
অতীতের তিক্ততা ভুলে একেবারে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে কঙ্গনা বলেন, "আরে আপনি তো একেবারে ঘরে ঢুকে মেরে আসলেন। জয় হিন্দ জাভেদ সাব..।"
<আরও পড়ুন: ‘মরতে পারতাম..’, মুম্বই ছাড়লেন ‘ক্ষুব্ধ’ সোনু নিগম! ছেলের কীর্তিতে ক্ষমাপ্রার্থী বিধায়ক>
প্রসঙ্গত, উর্দু কবি ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের স্মরণে সম্প্রতি লাহোরে এক সাহিত্য সভা আয়োজিত হয়েছিল। সেখানেই আমন্ত্রণ পান ভারতীয় কবি-গীতিকার আখতার সাহেব। সেই সভাতেই জাভেদকে পাকিস্তানের তরফে ভারতে শান্তির বার্তা পাঠানোর আবেদন জানানো হয়। বলা হয়, 'ভারতে গিয়ে বলবেন পাকিস্তান আপনাকে অনেক ভালবাসার সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছে।' তার প্রত্যুত্তরেই পাক সরকারকে কড়া কথা শোনান জাভেদ আখতার।