ব্যাঙ্গালোরে টেক স্পেশালিস্ট অতুল সুভাষের মৃত্যু, ফের যেন নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ৩৪ বছর বয়সে অতুল প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে একটি ভিডিও বানিয়ে ছিলেন নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার আগে। এবং তার মৃতদেহের পাশে ২৪ পাতার একটি ডেথ নোট পর্যন্ত মিলেছে। ব্যাঙ্গালোরে নিজের বাড়িতেই তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী এবং শশুরবাড়ি তথা আইনের বিরুদ্ধে। এই দেশে বিচার হয় না সে কথার আবারও প্রমাণ দিলেন তিনি। উত্তরপ্রদেশে তাঁর স্ত্রী এবং স্ত্রীয়ের পরিবারের লোকেরা নানা ভাবে তাকে অপদস্ত শুধু করেছে এমনটাই নয়, বরং ঘুষ খেয়ে তাকে নানাবিধ মামলায় জড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এমনটাই সেই মানুষটি জানিয়েছিলেন। এমন কি কোর্টের বিচারক পর্যন্ত টাকা খেয়ে, জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিলেন। সুভাষের বিরুদ্ধে, গার্হস্থ হিংসার অভিযোগ এনেছিলেন তার স্ত্রী।
আর অন্যদিকে সুভাষ, আর কোন রকম অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই প্রায় ৯০ মিনিটের একটি ভিডিও বানান। যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, তার স্ত্রীর পরিবার বারবার লক্ষ লক্ষ টাকা দেওয়ার দাবি করত। এবং যেই মুহূর্তে তিনি দিতে অস্বীকার করতেন, ২০২১ সালে তখনই তার স্ত্রী ব্যাঙ্গালোর ছেড়ে উত্তর প্রদেশে ফিরে যায়। এবং সেখানে গিয়েই, নানারকম মামলায় এবং আইনি ফ্যাসাদের ফাঁসানো হয় অতুলকে। এমনকি অতুল এও জানিয়েছিলেন যে কোর্টের বিচারক ও টাকা খেয়ে রীতিমতো প্রতিটি হিয়ারিং চলাকালীন তাকে অপদস্ত করেছে।
তার এই মৃত্যু ভারতীয় আইন এবং বিচারব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তুলেছে। সমাজ মাধ্যমে একটাই প্রশ্ন ঘুরছে আইনের রক্ষক যদি আইনের ভক্ষক হয় তাহলে মানুষ বিচার পাবে কোথায়? আর এরই মধ্যে কঙ্গনা রানাউত, ভয়ংকর একটি মন্তব্য করে বসেছেন। ভারতীয় আইনের বিচারে নারী সুরক্ষা এবং নারী নিরাপত্তার অপব্যবহার করেন অনেকেই। এই ক্ষেত্রে যে একই ঘটনা ঘটেছে, সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। ফেমিনিজমের নামে এই ধরনের কাণ্ড কীর্তিকে কঙ্গনা ধিক্কার জানিয়েছেন। কিন্তু তাই বলে তিনি এমন কিছু বলে বসবেন এটাও আশা করা যায় না।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, "গোটা দেশ থমকে গিয়েছে এই ঘটনায়। শোকাতুর বেশিরভাগই। তার ভিডিও দেখলে মন ভেঙ্গে যায়। চোখে জল চলে আসে। বিয়ে ভারতীয় পরম্পরার এক সুন্দর দিক। কিছু বন্ধন তাতে থেকেই যায়। কিন্তু, নারীবাদের নামে মিথ্যাচার, চূড়ান্ত নিন্দনীয়। তার কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তোলাবাজির মত আদায় করা হচ্ছিল। তাঁর এত টাকা দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। তাও তাঁকে টাকা দিতে হচ্ছিল। কিন্তু, একজন খারাপ মহিলার কথা ভেবে আমরা বাকি মহিলাদের সঙ্গে হওয়া অত্যাচারকে অগ্রাহ্য করতে পারি না। যদিও বা ৯৯% বিয়ের ক্ষেত্রে দোষ পুরুষদেরই। এই কারণেই এ ধরনের ভুল হয়েই থাকে।"
আর অভিনেত্রীর এই মন্তব্য চোখে আসতেই রেগে আগুন বেশিরভাগ। তাঁরা টেনে এনেছেন হৃতিক রোশনের প্রসঙ্গ। কেউ বলেন, একে থামাও। আবার কারওর কথায়, একে দেখলে আর এর কথা শুনলে এত কেন হাসি পায় কে জানে! আবার কেউ বললেন, "বলিউডের এমন একজনকে রাজনীতিতে বসিয়ে দিয়েছে! ছিঃ..."