দিন কয়েক আগেই কৃষক আন্দোলন নিয়ে মুখ খুলে ধর্ষণের হুমকি পাচ্ছেন বলে নেটদুনিয়ায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন কঙ্গনা রানাউত। এবার মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ আনলেন অভিনেত্রী। কঙ্গনার কথায়, দেশের হিতার্থে মুখ খোলার জন্যই তাঁর এহেন দশা। প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে মানসিক ও শারীরিকভাবে 'নিগ্রহের' শিকার হতে হচ্ছে। কেন তাঁকে এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে? দেশবাসীর কাছে সদুত্তর জানতে চাইলেন কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)।
'বলিউডের কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন' তিনি। বরাবরই বিতর্কিত মন্তব্য করা তাঁর অভ্যেস। যার জেরে গোটা লকডাউনে তাঁর উপর জারি হয়েছে একাধিক মামলা। তাতেও থামেননি অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সদা সক্রিয়। রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রী থেকে তারকারা, তাঁর বাক্যবাণ থেকে বাদ যান না কেউই। শুক্রবার সকালেও সেরকমই এক ভিডিও পোস্ট করলেন অভিনেত্রী।
দেড় মিনিটের এই ভিডিওয় তাঁকে বলতে শোনা যায়, “যেদিন থেকে আমি দেশের হিতার্থের জন্য মুখ খুলেছি, সেদিন থেকে আমার উপর যে অত্যাচার হচ্ছে, যে শোষণ হচ্ছে তা গোটা দেশ দেখছে। বেআইনিভাবে আমার ঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের পক্ষে কথা বলার জন্য রোজ আমার বিরুদ্ধে কতই না মামলা হচ্ছে! এমনকী আমি হাসলেও আমার উপরে একটা মামলা রুজু করা হচ্ছে। করোনার সময় আমার দিদি রঙ্গোলি ডাক্তারদের পক্ষে কথা বললে তাঁর বিরুদ্ধেও মামলা হয়। সেই মামলায় আবার আমার নামও দিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় আমি টুইটারেও ছিলাম না। মাননীয় বিচারপতি আমাদের তা নিয়ে ভর্ৎসনাও করেন। তারপর আবার বলা হচ্ছে, আমাদের পুলিশে হাজিরা দিতে হবে। আর আমাকে কেউ বলছেনও না কিসের জন্য এই হাজিরা! আমাকে এটাও বলা হচ্ছে ,আমি যেন নিজের উপরে হওয়া অত্যাচারের কথা কাউকে না বলি। আমি মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের কাছে জানতে চাই, এটা কী মধ্যযুগীয় বর্বরতার সময়, যেখানে মহিলাদের জীবন্ত পুড়িয়ে ফেলা হত? এই অত্যাচার গোটা বিশ্বের সামনে হচ্ছে। যাঁরা মজা দেখছেন তাঁদের বলতে চাই, হাজার বছরের দাসত্বে যেভাবে রক্ত বইছে, আবার তাই হবে যদি রাষ্ট্রবাদী কণ্ঠকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। জয় হিন্দ!” কঙ্গনার এমন ভিডিও পোস্টের পরই বেশ শোরগোল শুরু হয়েছে।