কঙ্গনা রানাউত, যাঁর মন্তব্য সবসময় কাউকে না কাউকে কাঁটার মত বিঁধতে থাকে। এবার, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে এমন কিছু বললেন, যাতে ফের তোলপাড় ফেলেছেন তিনি। অভিনেত্রী ইন্দিরার ভূমিকায় অভিনয় করতেই রাজনীতি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন।
Advertisment
ইমারজেন্সি, তাঁর পরবর্তী ছবি। ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। এর সঙ্গে কি রাজনীতির গভীর যোগ রয়েছে? নাকি সামনের বছর লোকসভা ভোটের আগেই কি রিলিজ করতে চলেছে কঙ্গনার ইমারজেন্সি? কোনও রাজনীতিক দলকে ছোট করে দেখাচ্ছেন কঙ্গনা? নাকি সম্পূর্ন ইন্দিরার জীবনকে তুলে ধরতে চলেছেন কঙ্গনা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন.. কেন এই ছবি সম্পূর্ন আলাদা হতে চলেছে?
অভিনেত্রী এই ছবির মাধ্যমেই পরিচালক হিসেবে ডেবিউ করতে চলেছেন। জানিয়েছিলেন, তিনি নিজের সবকিছু বিক্রি বাট্টা করে, বন্দক রেখে এই ছবি বানিয়েছেন। তাই, তিনি আশাবাদীও বেশ। ছবিতে, একঝাঁক তারকাদের নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। রাজনৈতিক ছবি প্রসঙ্গে কঙ্গনা বললেন...
"কোনও মানুষকে যদি চিনতে চাও তবে তাঁর কাজ দেখো। তাঁর কথায় যেয়ো না। সিনেমাটা দেখো। মানুষকে বিচার বিবেচনা করো। সিনেমাটা রিলিজ করবে কিন্তু, আদৌ কবে কখন? লোকসভা ইলেকশনের সময় কিনা সেটাও জানি না। সবকিছু বিচার বিবেচনার ব্যাপার। আর এই ছবিতে কোনও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নেই। কোনও দলকে ছোট, বড় করে দেখানো হয়নি। আমি বারবার বলছি, এই ছবিটা আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে একটা শ্রদ্ধার্ঘ। এর বেশি কিছু না। মানুষের বোঝা উচিত। তিনি কী খারাপ করেছেন, কী ভাল করেছেন সবটাই জানা উচিত।"
এখানেই শেষ না। কঙ্গনার কথায় একজন এমন ডাকসাইটে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বর ভূমিকায় অভিনয় করতে পেরে তিনি যথেষ্ট গর্বিত। অনেক গবেষণা করতে হয়েছে। সেটা করতে গিয়েই দেখেছেন, নানাভাবে হীনমন্যতায় পড়তে হয়েছে তাকে। রীতিমতো কটাক্ষের শিকার হয়েছেন তিনি। বললেন, "আমি দেখেছি গবেষণা করার সময় যে রিচার্ড নিক্সন তাঁকে কীভাবে বুলি করেছেন। তাঁকে হ্যাটা হতে হয়েছে। একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকেও এসব সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু এখন এসব হয় না। মোদীর রাজ্যে সবই শান্তিপূর্ন।"
ভারতীয় হিসেবে গর্ব হয় অভিনেত্রীর। গতকাল নারী সুরক্ষা এবং উন্নয়নের খাতিরে সরব হয়েছিলেন তিনি। সামনে, ছবি রিলিজের প্রস্তুতি শুরু করবেন।