Kangana Ranaut On Food Delivery App: ভ্যালেন্টাইনস ডে অর্থাৎ প্রেমদিবসেই ভালবাসার নতুন জার্নি শুরু করলেন ক্যুইন কঙ্গনা রানাউত। কর্মসূত্রে মুম্বই-ই এখন স্থায়ী ঠিকানা। তবে শহরের কোলাহলের বাইরে নিরিবিলিতে সময় কাটাতে পাহাড়ের কোলে নিজের জন্য বাড়ি বানিয়েছেন। নিজেকে হিমাচল কন্যা বলেও দাবি করেন কঙ্গনা রানাউত।
হিমাচল প্রদেশের মান্ডী কেন্দ্রের সাংসদও তিনি। সেখানেই স্বপ্নের ক্যাফের উদ্ভোধন করলেন কঙ্গনা। শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন অনুরাগীরা। অনেকদিন ধরেই ইচ্ছে ছিল নিজের মনের মতো একটি রেস্তোরাঁ বানাবেন। অবশেষে সেই স্বপ্নপূরণ হল তাঁর। কঙ্গনা ক্যাফের নাম রেখেছেন, দ্য মাউন্টেন স্টোরি। এই ক্যাফেকে মায়ের রান্নাঘরের খাবারের স্বাদ, সুগন্ধ আর পাহাড়ের প্রশান্ত সৌন্দর্যকে উৎসর্গ করতে চান।
নতুন ক্যাফের উদ্ভোধনের দিন ছবি পোস্ট করে কঙ্গনা লিখেছেন, 'দ্য মাউন্টেন স্টোরি’র প্রথম রাত। স্বপ্ন সত্যি হল আজ। যাঁরা আমাকে সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ।' স্বপ্ন সত্যি হওয়ার পর Brut India-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা ফুড ডেলিভারি আর অর্ডার করে খাওয়া খাওয়ার এই লেটেস্ট ট্রেন্ডকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলেছেন। ডেলিভারি অ্যাপের বাড়বাড়ন্তকে তুলোধনা করেছেন।
তাঁর মতে, 'আমাদের সমাজের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত মর্মান্তিক। মানুষ তো আজকাল ঐতিহ্যবাহী ও স্থানীয় খাবারের স্বাদই ভুলে গিয়েছে। আগে প্রতিটি গ্রামে নিজস্ব একটা রান্নার ধরন থাকত। আমার তো মনে হয় সেই পুরনো প্রথাকে আবার ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। আমার এলাকায় স্থানীয় রান্নার প্রচার করার চেষ্টা করব।'
বর্তমান প্রজন্মের উদ্দেশে কঙ্গনা বলেন, 'আজকাল প্রায় সকলেই মনে করি আমরা কর্মজীবী। আমাদের আগেও একটা প্রজন্ম ছিল। তাঁরা আচার তৈরি করে সেগুলো সংরক্ষণের পদ্ধতিও জানত। তাঁরা আমাদের থখেকে অনেক বেশি স্মার্ট। রাজস্থানের মানুষ জল ছাড়া রান্না করতে শিখেছে। আমি তো ঘি-মাখন বানানো শিখতে চাই।'
উল্লেখ্য ২০২০ সাল থেকে এই ক্যাফে তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। অতীতের এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তাঁর রেস্তারাঁয় সবরকমের খাবার রাখতে চান। বিশ্বের বিভিন্ন রকমের খাবারের স্বাদ আস্বাদন করেছেন কঙ্গনা। অনেক খাবার তৈরির প্রণালীও আছে তাঁর কাছে। তাই একদিন নিজের ড্রিম ক্যাফে বানাতে চান অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত।