কঙ্গনার গালে কষিয়ে চড় মেরে নেটপাড়ার আসল কুইন প্রমাণিত হয়েছেন কুলবীন্দর। অভিনেত্রীকে নানা কারণেই অনেকে পছন্দ করেন না, সেকারণেই যেন এই ঘটনায় আরও বেশি করে আনন্দ পেয়েছেন নেটাগরিকরা। কিন্তু, শাবানা আজমির নজরে সম্পূর্ণটাই খুব অন্যায়।
যদিও, অভিনেত্রীর সঙ্গে এহেন অন্যায় মেনে নিতে পারেননি বলিউডের কেউই। সকলে একটা কথাই বলেছিলেন, ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থাকলেও কিন্তু প্রকাশ্যে এভাবে কাউকে চড় মারা উচিত না। সেটার জন্য সময় আছে, স্থান কাল পাত্র রয়েছে। এদিকে, লোকসভা নির্বাচনে জিতে কঙ্গনা এখন মান্ডির সাংসদ। তাই তাঁর কাছে বেশ কিছু ক্ষমতাও রয়েছে।
অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি অভিযোগ জানাবেন। অন্যদিকে, শাবানা আজমির একজন অভিনেত্রী তথা নারীর হাতেই নারীর সম্মানহানির ঘটনায় বেশ মর্মাহত। শাবানা বলছেন...
আরও পড়ুন - Kangana Ranaut slapped: একসময় ডাইনি বলেছিলেন কঙ্গনাকে, প্রাক্তন চড় খাওয়ার পর কি আনন্দে লাফাচ্ছেন অধ্যয়ন সুমন?
"কঙ্গনার প্রতি আমার কোনও অনুরাগ ভালবাসা নেই। কিন্তু যারা সমবেতভাবে এই চড়কান্ডকে উদযাপিত করছেন, তাদের কিছু আমি বুঝতে পারছি না। আমি নিজেকে তাঁদের মধ্যে খুঁজে পাচ্ছি না।" কৃষক আন্দোলন নিয়ে নানা মন্তব্য করেন কঙ্গনা। সেখানেই যুক্ত ছিলেন কুলবীন্দরের মা। CISF কনস্টেবল জানিয়েছিলেন, উনি যা বলেছেন সেটি নিন্দার। পয়সার জন্য আন্দোলনে কি উনি বসেছিলেন? আমার মা ছিলেন। তাঁদের অপমান করেছেন উনি।
যদিও এতকিছুর পরেও শাবানা জানান, কুলবিন্দরের আচরণ মোটেই ঠিক নয়। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর কথায়... "CISF কনস্টেবলরা যদি আইন নিজের হাতে নিয়ে নেবে তবে, দেশের আইন ব্যবস্থা বলে তো কিছুই থাকবে না।"
উল্লেখ্য, কঙ্গনার রাজনীতির কেরিয়ার বাদ দিলে, তিনি সামনের দিনে নতুন ছবি ইমার্জেন্সী নিয়ে বেশ ব্যস্ত। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় কাজ করেছেন। নির্বাচনের কারণেই, তিনি বেশ কিছুদিন সিনে দুনিয়া থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। যদিও অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ভোটে জিতলে তিনি বলিউড ছেড়ে দেবেন।