সিনেপর্দার রোম্যান্টিক নায়িকা আবার সময় বিশেষে ক্ষুরধারও বটে! চোখে স্থির লক্ষ্যভেদী দৃষ্টি। মুখে হুংকার। রূপোলি পর্দা থেকে উঠে আসা সুন্দরী অভিনেত্রীর রাজপাট সামলানোর স্বপ্ন। তুখোড় বুদ্ধিসম্পন্ন। ‘রণংদেহী’ রাজনীতিক জয়ললিতার ভূমিকায় ধরা দিলেন কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। আটের দশকের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সিনেপর্দা থেকে উঠে আসা এক অভিনেত্রীর রাজনৈতিক কেরিয়ার গড়া যে মোটেই 'কেকওয়াক' ছিল না, তা বলাই বাহুল্য। তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার (J. Jayalalithaa) বায়োপিক 'থালাইভি'র (Thalaivi) ট্রেলারে সেসব বাস্তব ঘটনাই প্রকাশ্যে এল।
Advertisment
সিনেমায় এসে চলচ্চিত্র জগতের ছবি বদলে দিয়েছেন। রাজনীতিতে পা রেখে তামিলনাড়ুর ভবিষ্যৎ বদলে দিয়েছেন। নিজের কাহিনি নিজেই লিখে ইতিহাসের রচনা করেছিলেন। কোটি কোটি মানুষের ভাগ্য বদলে দিয়ে চিরকালের জন্য উনি তাঁদের কাছে হয়ে গিয়েছিলেন ‘থালাইভি’। সিনেপর্দা থেকে রাজনীতির মঞ্চে যাঁর উত্তরণ, সব প্রজন্মের কাছেই অনায়াসে এক অনুপ্রেরণা জয়ললিতা। এমজি রামচন্দ্রনের সঙ্গে তাঁর রোম্যান্সের কাহিনিও ধরা দিল ট্রেলারে।
সিনেমার ট্রেলার মনে করিয়ে দিল তামিলনাড়ু বিধানসভায় জয়ললিতাকে ঘিরে সেই বিতর্কিত ঘটনার কথাও। যখন কিনা তামিলনাড়ুর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী করুণানিধিকে ভরা সভায় অপরাধী তকমা সাঁটার জন্য বিধানসভার ভিতরেই বিরোধীপক্ষের হাতে শারীরিক হেনস্তার শিকার হতে হয়েছিল জয়ললিতাকে। আর ঠিক সেই ঘটনার আগুন মনে জ্বেলে রেখেই ২ বছর পরে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছিলেন জয়ললিতা।
কাস্টিং নিয়ে বিতর্ক হলেও কঙ্গনা যে জয়ললিতার চরিত্রে নিরাশ করবেন না সিনেদর্শকদের, তার ইঙ্গিত মিলল ট্রেলারেই। ২৩ এপ্রিল বড়পর্দায় আসতে চলছে ‘থালাইভি’। ছবির পরিচালনায় এ.এল.বিজয়। চিত্রনাট্য লিখেছেন, কেভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ। এম.করুণানিধির ভূমিকায় দেখা যাবে প্রকাশ রাজকে। এমজি রামচন্দ্রনের ভূমিকায় রয়েছেন অরবিন্দ স্বামী। শোভন বাবুর চরিত্রে বাঙালি অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত (Jisshu Sengupta), যিনি কিনা এর আগে কঙ্গনার সঙ্গে ‘মণিকর্ণিকা- দ্য ক্যুইন অফ ঝাঁসি’তে অভিনয় করেছিলেন। শশীকলার চরিত্রে রয়েছেন পূর্ণা।