Kangana Ranaut-Bollywood: যেদিন থেকে কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে, সেদিন থেকে নতুন নতুন চরিত্র উঠে আসছে। কখনও সাধু বাবা, কখনও আইআইটি বাবা, আবার কখনও ফুল বিক্রেতা মোনালিসা। তাঁর সৌন্দর্য, বিশেষ করে চোখ দারুণ নজর কেড়েছে সকলের। এমন তো অনেকেই দাবি করছেন তাঁকে নাকি বলিউডের নায়িকাদের থেকেও দেখতে সুন্দর। কঙ্গনা এমন কিছুই দাবি করেছেন...
অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত তার কাজের জন্য হোক বা তার মতামতের জন্য নিয়মিত শিরোনামে আসেন। অভিনেতা-রাজনীতিবিদ, যাঁর ছবি ইমার্জেন্সি সম্প্রতি মুক্তি পেলেও বক্স অফিসে আলোড়ন তুলতে ব্যর্থ হয়েছে, তিনি এখন সমসাময়িক বলিউড অভিনেত্রী এবং তাদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সৌন্দর্যের মান সম্পর্কে তার মতামত প্রকাশ করেছেন।
তিনি হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে শ্যামবর্ণা অভিনেত্রীর অভাবের কথা উল্লেখ করেছিলেন, যেখানে একসময়, দীপিকা পাড়ুকোন, কাজল, বিপাশা বসু প্রমুখের মতো শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রীদের পেয়েছে বলিউড, সেখানে এখন সবাই বেশ ফেয়ার স্কিন টনেরবলেই উল্লেখ করেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে বলিউডে কালো চামড়ার উপস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি নোট লিখেছেন অভিনেত্রী।
কঙ্গনা তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, "এই তরুণী মোনালিসা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য ইন্টারনেট একটি সেনসেশন হয়ে উঠেছে। আমি ছবি এবং সাক্ষাত্কারের জন্য তাকে হয়রানি করা লোকদের যতটা ঘৃণা করি, কিন্তু বিষয়টা আমায় ভাবাচ্ছে, যে গ্ল্যামার বিশ্বে ডাস্কি ভারতীয় টোনের মহিলার প্রতিনিধিত্ব রয়েছে? অনু আগরওয়াল, কাজল, বিপাশা, দীপিকা বা রানি মুখোপাধ্যায়ের মতো তরুণ অভিনেত্রীদের ভালোবাসেন তাঁরা? সব অভিনেত্রীকে শ্বেতাঙ্গ নারীর মতো ফ্যাকাশে দেখায় কেন, এমনকি যারা তাদের যৌবনে কালো ছিল? কেন মানুষ মোনালিসাকে যেভাবে দেখছে, সেভাবে নতুনদের কিংবা তাঁদের স্কিন টোনকে মেনে নিতে পারে না? লেজার ইঞ্জেকশন সঙ্গে এত যে ট্রিটমেন্ট ফর্সা হওয়ার এগুলো কেন করায়?
কিন্তু, বলিউডে সত্যিই কি ডার্ক স্কিন নায়িকাদের অভাব ছিল? খেয়াল করলে দেখা যাবে, সুস্মিতা থেকে দীপিকা এমনকি বিপাশা অথবা মালাইকা, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া নিজেও তাঁরা কেউই ফর্সা ছিলেন না, কিন্তু তাঁরা বেশ রুল করেছেন বলিউড। ফলে, একসময় যে এই বিষয়টা একেবারেই ম্যাটার করত না, সেটা স্বাভাবিক। যদিও, বর্তমানে কাজল নিজের ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে নিজের গায়ের রঙ্গে অনেক বদল এনেছেন।