পুজো-আর্চায় বেজায় মন কঙ্গনা রানাউতের। হিমাচল হোক কিংবা মুম্বইয়ের বাংলোতে যে কোনওরকম অনুষ্ঠানই পালন করেন অভিনেত্রী। শত কর্মব্যস্ততার মাঝেই আবার কখনও কখনও কাশী চলে যান, আবার কখনও বা অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে তো কখনও তিরুপতিতে। গোকুল থেকে দাক্ষিণাত্যভূমের যে কোনও মন্দিরে তাঁর বিচরণ। এবার জন্মদিনেও তার অন্যথা হল না। জীবনের এই বিশেষ দিনে ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিতে সোজা চলে গেলেন জম্মুতে। বৈষ্ণোদেবী তীর্থে।
বুধবার সকালেই বৈষ্ণোদেবী মন্দির চত্বর থেকে ছবি শেয়ার করে জানান দিয়েছেন অভিনেত্রী। ২৩ মার্চ, বুধবার ৩৫ বছরে পা দিলেন কঙ্গনা রানাউত। আর দিনের শুরুটা করলেন বৈষ্ণোদেবীর পাটে মাথা ঠেকিয়ে। তীর্থযাত্রায় তাঁর সঙ্গী বোন রঙ্গোলি চান্দেল। ইনস্টাগ্রামে একাধিক ছবি শেয়ার করে কঙ্গনা লিখেছেন, "আজ আমার জন্মদিনে ভগবতী বৈষ্ণোদেবীর দর্শন করলাম। দেবী এবং আমার মা-বাবার আশীর্বাদ নিয়েই নতুন বছরটা শুরু করব।"
এদিকে কঙ্গনার জন্মদিনে সকাল থেকেই নেটদুনিয়ায় শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে গিয়েছে। অনুরাগীরা তো বটেই এমনকী বিতর্ক-সমালোচনা ভুলে বলিউডের সহকর্মীরাও তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিশেষ করে করিনা কাপুর। নিজের ইনস্টা স্টোরিতে কঙ্গনার ছবি দিয়ে তিনি লিখেছেন, "প্রিয় কঙ্গনা জন্মদিনের শুভেচ্ছা, ভালবাসা।" একতা কাপুর অভিনেত্রীকে প্রকৃত ক্যুইন বলে সম্বোধন করেছেন। শুভেচ্ছা জানান সামান্থাও।
<আরও পড়ুন: ‘ঘৃণ্য পরিস্থিতি, রাজ্য না নৈরাজ্য?’, রামপুরহাট গণদাহের তীব্র নিন্দায় কমলেশ্বর>
প্রসঙ্গত, বৈষ্ণোদেবী দর্শনের পর জম্মু পাহাড়ের আরও উচ্চতায় ভৈরব বাবার মন্দিরেও পুজো দিয়ে এলেন কঙ্গনা-রঙ্গোলি। কেন বৈষ্ণোদেবী দর্শনের পর ভৈরব বাবার মন্দিরে যাওয়া জরুরি সেকথাও ব্যখ্যা করে দিলেন অভিনেত্রী। লিখলেন, "পুরাণে কথিত, রাক্ষস ভৈরব নাকি একদা বৈষ্ণোদেবীকে তাড়া করেছিলেন। সেই ভয়ে দেবী ওই গুহায় আশ্রয় নেন, যেটা কিনা মূল গর্ভগৃহ। যখন ভৈরব শেষমেশ তাঁকে খুঁজে পান, তখন দেবী তাঁর মস্তক ছিন্নভিন্ন করে দেন। যা অন্য এক পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে পরে। ভৈরবের মৃত্যুর পরই বৈষ্ণোদেবী ঘোষণা করেন যে, রাক্ষস ভৈরব শিবেরই আরেক রূপ, দেবীর জন্যই এই রূপধারণ করেছিলেন তিনি। তাই কেউ যদি বৈষ্ণোদেবীর পুজো করে আশীর্বাদ নিতে চান, তাঁকে ভৈরব বাবার মন্দিরেও যেতে হবে। শত্রু থাকাও আমাদের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটাই আসলে বোঝাতে চেয়েছেন তিনি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন