উলটো সুর না ড্যামেজ কন্ট্রোল? দিন কয়েক আগেই বিকিনি পরে মেস্কিকোর সমুদ্র সৈকতের ছবি দিয়ে নেটদুনিয়ায় জোর কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন। যিনি কিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বদা ধর্মের পাঠ পড়ান, নিজেকে ঝাঁসির রানি বলে চড়াও হন… সেই তিনিই এমন খোলামেলা ছবি পোস্ট করলেন! মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। অতঃপর কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) উপর একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। প্রশ্ন তোলেন, “ঝাঁসির রানি বিবস্ত্র কেন?” বিতর্কের রেশ ধরে পালটা দিয়েছিলেন কঙ্গনাও। বলেছিলেন, "আমাকে ধর্মের পাঠ পড়াতে আসবেন না!" এবার তার জেরেই কি এমন 'কূটনৈতিকমূলক' বড়দিনের শুভেচ্ছাবার্তা? উঠছে প্রশ্ন।
বড়দিন উদযাপনে যখন মাতোয়ারা তারকারা। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে হুল্লোড়, খানাপিনা, আড্ডার ছবি পোস্ট করে নেটদুনিয়া মাতাচ্ছেন, ঠিক তখনই কঙ্গনার 'বে-সুরো' মন্তব্যে সরগরম নেটদুনিয়া। টুইটে বড়দিনের শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন ঠিকই। তবে খানিক বাঁকাভাবে। লিখেছেন, "ক্রিসমাসর শুভেচ্ছা শুধুমাত্র তাঁদেরকেই, যাঁরা ভারতের সব উৎসবকে সম্মান করেন আর গ্রহণ করেন। যাঁরা শুধুমাত্র হিন্দু উৎসবকে নিয়ে 'অ্যাক্টিভিটিজম' দেখান না।" ব্যস, অভিনেত্রীর এমন বাঁকাকথার পর থেকেই নেটিজেনদের একাংশ ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁর বিরুদ্ধে।
বলিউডের 'কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন' তাঁকে সাধেই আখ্যা দেওয়া হয় না। তাঁর প্রত্যেকটা মন্তব্যেই বিতর্কের স্ফুলিঙ্গ জ্বলে ওঠে। এবারও তার অন্যথা হয়নি। কারণ, এযাৎকাল গেরুয়াপন্থী মনোভাবাপন্ন অভিনেত্রী একাধিকবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অর্থাৎ মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কটাক্ষ করে টুইট করেছেন। এমনকী, তাঁর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগও রয়েছে। যার জেরে মামলাও দায়ের হয়েছে কঙ্গনা ও তাঁর দিদি রঙ্গোলির বিরুদ্ধে। যে মামলা কিনা এখনও মুম্বই আদালতে চলছে। সেই অভিনেত্রীই কিনা এবার শুধুমাত্র 'ধর্মনিরপেক্ষ'দের ক্রিসমাসের শুভেচ্ছাবার্তা জানাচ্ছেন! কঙ্গনার কণ্ঠে এমন উলটো সুর কিন্তু অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। তাঁদের কথায়, গতবার আসলে বিকিনি পরা ছবি পোস্ট করে যে সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন, তাঁর সংস্কৃতি, আচার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, সেই বিতর্ক ঢাকতেই এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করেছেন কঙ্গনা।