ধুন্ধুমার বাণিজ্যনগরী! মহারাষ্ট্র সরকারের রাশ কার হাতে থাকবে? তা নিয়েই শিন্ডে বনাম উদ্ধব যুদ্ধ। মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলের বিধায়ক-মন্ত্রীর সম্মুসমরে শোরগোল মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। এসবের মাঝেই ভাইরাল উদ্ধব ঠাকরেকে দেওয়া কঙ্গনা রানাউতের অভিশাপের ভিডিও টুইট।
কঙ্গনা-উদ্ধব দ্বন্দ্বের সূত্রপাত
উদ্ধব ঠাকরে, শিবসেনার দুর্দিন মানেই কঙ্গনা রানাউতের সুদিন! নেটপাড়া এমনটাই বলছে। অতীত ঘেঁটে দেখলেও অন্তত এটাই প্রমাণ হয়। সুশান্ত রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে মহা-সরকার তথা উদ্ধব-পুত্র আদিত্য ঠাকরেকে শিখণ্ডী করেছিলেন কঙ্গনা। যার জল গড়ায় কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন-এর বাংলো ভাঙা অবধি! যে ঘটনার জেরে উদ্ধব ঠাকরেকে তুই-তোকারি করে শাপ-শাপান্ত করতেও ছাড়েননি অভিনেত্রী। উপহার স্বরূপ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে Y+ নিরাপত্তা পান তিনি। এবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের গদি নড়বড়ে হতেই ফের কঙ্গনা রানাউতের সেই বিতর্কিত টুইট ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।
উদ্ধব ঠাকরেকে কী বলেছিলেন কঙ্গনা?
বছর দুয়েক আগের কথা। সুশান্তের মৃত্যুর জন্য অযাচিতভাবে শিবসেনা সরকারকে তুলোধনা করেছিলেন কঙ্গনা রানাউত। দাবি করেছিলেন, সুশান্ত মৃত্যুর আগের রাতে উদ্ধব-পুত্র আদিত্য ঠাকরদের সঙ্গে পার্টি করেছিলেন। অভিনেত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল বি টাউন। তার মাসখানেক বাদেই কঙ্গনার বান্দ্রার পালি হিলসের বাংলোকে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে ভেঙে দেয় BMC। সেইসময়ে বেজায় চটে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
<আরও পড়ুন: Tarun Majumdar Health Update: সংকটজনক তরুণ মজুমদার, SSKM-এ ছুটে গেলেন মমতা>
টুইটে মহা-মুখ্যমন্ত্রীকে সোজাসুজি হুঁশিয়ারি দেগে এক ভিডিওতে বলেন, "উদ্ধব ঠাকরে, তোর কি মনে হয়, তুই ফিল্ম মাফিয়াদের সঙ্গে চক্রান্ত করে আমার সঙ্গে অনেক বড় প্রতিশোধ নিয়ে নিয়েছিস? আজ আমার ঘর ভেঙেছে। কাল তোর অহংকারের পতন হবে। এটা সময়ের খেলা। সবসময়ে দিন এক যায় না।" (তুঝে ক্যায়া লাগতা হ্যায় কি তুনে ফিল্ম মাফিয়াকে সাথ মিলকে মুঝসে বহত বড়া বদলা লিয়া হ্যায়? আজ মেরা ঘর টুটা হ্যায়, কাল তেরা ঘমন্ড টুটেগা! ইয়ে ওয়াক্ত কা পাহিয়া হ্যায় ইয়াদ রাখনা। হামেশা এক নহি রেহেতা।) তাহলে কি কঙ্গনার অভিশাপেই উদ্ধবের মুখ্যমন্ত্রীত্ব যাওয়ার পথে? সেই প্রশ্ন উত্তাল নেটপাড়া।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন