তবলিঘি জামাত নিয়ে আলটপকা মন্তব্য করেছিলেন। যার জেরে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে এখনও কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) বিরুদ্ধে মামলা চলছে। কিন্তু তাতে থোড়াই পরোয়া করেন বলিউডের কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন! এবার সেই একই অভিযোগে টুইটার কর্তৃপক্ষের বিরাগভাজন হলেন তিনি। সইফ আলি খানের 'তাণ্ডব' (Tandav) নিয়ে যখন দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় চলছে, হিন্দুধর্মের ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ উঠেছে আমাজন প্রাইমের এই ওয়েব সিরিজের বিরুদ্ধে, ঠিক তখনই সেই বিতর্কে স্বভাবসিদ্ধগতভাবে ঘি ঢাললেন কঙ্গনা রানাউত। যার জেরে এবার টুইটার কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁর অ্যাকাউন্টের উপর কড়া নজর রাখা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, বলিউডের কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন সোশ্যাল মিডিয়ায় হিংসা ছড়াচ্ছেন।
ওয়েব সিরিজ 'তাণ্ডব' নিয়ে বিতর্কিত টুইট করে ফের বিপাকে কঙ্গনা। বেগতিক দেখে পরে অবশ্য সেই টুইট ডিলিটও করে দেন তিনি। বহু নেটিজেনই সরব হন কঙ্গনার বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ, বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন বলি তারকা। কঙ্গনা তাঁর একটি টুইটে 'তাণ্ডব' সিরিজের নির্মাতাদের উদ্দেশে লেখেন, " ভগবান কৃষ্ণও শিশুপালের ৯৯টি ভুল ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। প্রথমে শান্তি তারপরে বিপ্লব। ওদের মাথা কেটে ফেলার সময় হয়েছে। জয় শ্রীকৃষ্ণ।" বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রর একটি টুইট শেয়ার করে 'তাণ্ডব' পরিচালকের উদ্দেশে প্রশ্ন ছোড়েন, "বলো আলি আব্বাস জাফর, আল্লাহর উপহাস করার হিম্মত আছে?"
এই টুইটের পরেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন কঙ্গনা। তাণ্ডবের অভিনেতা ও পুরো টিমের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। টুইটারে ট্রেন্ডিং হয় #SuspendKanganaRanaut। যার জেরে টুইটার কর্তৃপক্ষ অভিনেত্রীর প্রোফাইলে কড়া নজরদারি চালানোর কথা ঘোষণা করেন।
এরপরই রণংদেহি মেজাজে ময়দানে নামেন অভিনেত্রী। তাঁর সমালোচকদের উদ্দেশে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, "লিবারাল গোষ্ঠী তাদের কাকু জ্যাক ডোরিসের কাছে বায়না করেছে আমার অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করলেও এবার ছবিতে দেশভক্তি দেখাবেন তিনি। উদারনীতিকদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলবে"
এখানেই থেমে থাকেননি অভিনেত্রী। পাশাপাশি এও বলেন যে, "যে উদারনীতিকরা ভয়ে মায়ের কোলে কাঁদছে তাঁরা এটা পড়ুন। আমি তোমাদের মাথা কাটতে বলিনি। এটা তো আমিও জানি পোকামাকড়দের আর কৃমিদের জন্য কীটনাশকই যথেষ্ট।"