নজরুলের সেই বিখ্যাত গান, যেন সবকিছু ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে.. সেটিকে নিয়ে বিতর্ক - গোলমাল। কারার ঐ লৌহ কপাট গানটিকে ভিন্ন সুরে বেঁধেছেন রহমান। গেয়েছেন বাংলার শিল্পীরা। আর এতেই বিতর্ক। মেনে নিতে পারছেন না কেউই।
Advertisment
এবার বিদ্রোহে নামলেন আরও একদল। নজরুলের বাড়ির সকলেই প্রতিবাদ করলেন এই গান নিয়ে। কেন বিকৃত করা হবে তাঁর গান? কে দিল সত্ব? এই অধিকার কে দিল? সব নিয়েই আজকে সরব হয়েছিলেন তারা সকলে। কাজী নজরুলের বাড়ির সদস্যরা আজ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে নানা কথা বলেন।
উপস্থিত ছিলেন কাজী অরিন্দম, খিলখিল কাজী এবং অভীপ্সা কাজী। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তাঁরা বলেন, কাজী অনির্বাণ নিজ দায়িত্ব নিয়ে সত্ব দিয়েছে। সেকথা অনেকেই জানতেন না। নজরুলের গান গাওয়া নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। খিলখিল কাজীর কথায়..
আমাদের অনেক গলদ ছিল। অনেক কথা অনেকেই জানেন না। আমি আগেও শুনেছি, যে কবি নজরুলের গান নাকি দূরদর্শনে গাইতে দেওয়া হয় না। কারণ, রয়ালটি না পেলে সেটা হবে না। আমি অনেকবার গিয়েছি। জানানোর চেষ্টা করেছি। আমার সই নকল করে একটা ভুয়ো কাগজ হয়তো বা আমার পরিবারের তরফেই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, সত্বর ওপর কবি পরিবার চলে না। আমাদের আসল উদ্দেশ্য সঠিক সুরে, নজরুলের গান প্রচার করা। এখানেই শেষ না।
অভীপ্সা কাজী নিজেও রেগে আগুন। তিনি বললেন, যারা গানটি গেয়েছেন তারা তো আমার প্রজন্মের। আমি একটাই কথা বলতে চাই... এই গানটা তুলে নেওয়া হোক। কারণ এটা ছড়িয়ে পড়ছে। মানুষ যেখান থেকেই হোক শুনছে। একটা খারাপ প্রভাব পড়ছে। ভুল গানটা গ্রহণ করছে মানুষ। দিনদিন এটা বিকৃত হবে। যেটা ঠিক নয়। এটাই বলা হবে, যে বিকৃতটাই গ্রহণযোগ্য সুর। সেটা তো নয়। প্রতিবাদের একটা সুর আছে। ভাটিয়ালি গানের একটা সুর আছে। সব গান সমান না। কী করে মনে হতে পারে এটা একটা প্রতিবাদী গান? বাউলের মত বানিয়ে দিলেই হল। এটা তুলে নেওয়াই উচিত।
উল্লেখ্য, রহমানের এই কীর্তিতে রেগে আগুন বাংলার শিল্পী মহল। তাঁরা আগেই গলা চড়িয়েছেন। কেউ কেউ বলেছিলেন, রহমান হতে পারেন বিশ্ববরেণ্য! কিন্তু এই হ্যাঁ নিয়ে ছেলেখেলা করতে পারেন না।