এরকম ম্যাচ মেকার কে না চায়! বলিউডে জুটি বানানোয় তো তিনি ওস্তাদই তবে, রিয়েল লাইফেও কিছু কম যান না। এর আগে বিয়ে দিয়েছেন অনেকেরই। এমনকি অভিষেক বচ্চন নিজেও বলেছিলেন একজনই এমন আছেন বলিউডে যিনি জুটি তৈরি করেন। ভিক্যাট-রালিয়ার পর সিয়ারা, করণ জোহরকে বাহ বাহ করছে গোটা বলিউড।
সিদ্ধার্থের যাত্রা শুরু হয়েছিল করণের হাত ধরেই। 'মাই নেম ইজ খান' ছবিতে সহকারী পরিচালক এবং স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার ছবিতে ডেবিউ, সিদ্ধার্থের জীবনে বিরাট ভূমিকা রয়েছে করণ জোহরের। আর কিয়ারা? 'শেরশাহ' ছবিতে দুজনকে মিলিয়েই দিয়েছিলেন করণ। একই ছবিতে প্রথমবারের মত কাস্ট হয়েছিলেন দুজনে। তারপর? সেখান থেকেই ভালবাসার যাত্রা শুরু। প্রকাশ্য মঞ্চেও করণ জানিয়েছিলেন, সিদ্ধার্থ এবং কিয়ারার মধ্যে যে অদ্ভুত সুন্দর বন্ধুত্ত্ব তার ঝলকই মিলেছে এই ছবিতে।
আরও পড়ুন < যেন রূপকথার বন্ধন, সিদ্ধার্থ-কিয়ারার বিয়ের প্রথম ছবি প্রকাশ্যে, দেখুন এলাহি আয়োজন >
গতকাল, গাঁটছড়া বেঁধেছেন দুই তারকা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন করণ জোহর। বরযাত্রী হিসেবে যেমন নেচে কাঁপিয়েছেন তেমনই কনেপক্ষ হিসেবে কন্যাদানের সময় শান্ত হয়ে বসেও ছিলেন করণ। এর আগেও রণবীর আলিয়ার বিয়ের সময়, কেঁদে ভাসিয়েছেন করণ। এবারও নিজের মনের কথা ব্যক্ত করলেন। লিখলেন....
"সিদ্ধার্থের সঙ্গে দেখা হয় প্রায় ১১ বছর আগে, একজন শান্ত, শক্ত এবং সেনসেটিভ মানুষকে দেখেছিলাম। কিয়ারার সঙ্গে দেখা হয়, বহু বছর পর কিন্তু ওর মধ্যেও যে স্নিগ্ধ এবং শান্ত ভাব ছিল... তারপর তাঁদের দুজনের দেখা হল। আমি তখন থেকেই জানতাম এই দুই মানুষ যে এক হয়েছেন, বন্ধন আরও জোরালো হবে। যেন ম্যাজিকাল লাভ স্টোরি। ওরা যখন মণ্ডপে বসে ছিল, বিয়ের মন্ত্র উচ্চারণ করছিল, সকলে সেই শক্তি, সেই ভালবাসা ওখানে বুঝতে পেরেছে। আমি শুধু শান্ত হয়ে বসে ছিলাম। খুব গর্ব হচ্ছিল, ওদের দুজনের জন্য শুধুই ভালবাসা। সিদ্ধার্থ, কিয়ারা - তোমাদের দুজনকে অনেক ভালবাসা। সারাজীবনের জন্য সুখ তোমাদের হোক"।
প্রায় বছর দুয়েক তাঁদের সম্পর্ক। একই ছবিতে অভিনয়, তারপর গতকাল রাতে দুজনের মধ্যে পার্মানেন্ট বুকিং হয়ে গিয়েছে। করণের সব ছাত্ররাই তাঁদের 'ইশক ওয়ালা লাভ' পেয়ে গিয়েছেন। পরিচালক, প্রযোজককে ধন্য ধন্য করছে গোটা বলিউড। তাঁদের কথায়, এরম একজন ম্যাচ মেকার পেলে সবার জীবন বর্তে যাবে। রালিয়ার পরে, সিয়ারা, এবার কোন জুটি বানান তিনি সেটাই দেখার।