Saif Ali Khan Security: ১৫ জানুয়ারি বুধবার মধ্যরাতে বাড়িতে ছুকে সইফের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতী। মারাত্মকভাবে জখম হন পতৌদি নবাব সইফ আলি খান। অস্ত্রোপচারের পর পিঠে গেঁথে থাকা ছুরির আড়াই ইঞ্চি বার করা সম্ভব হয়েছে। মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সইফ। পাঁচদিন পর বাড়ি ফিরেছেন অভিনেতা। পতৌদি পরিবারে হামলার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় করিনা সেলেব পাপারাৎজ্জিদের কাছে আর্জি করেছিলেন, তাঁরা যেন নিরাপত্তার স্বার্থে সইফিনার প্রাইভেসি বজায় রাখেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই পোস্ট করেও বিশেষ কোনও লাভ হয়নি। তারপরও একদিন ইনস্টা স্টোরিতে প্যাপেদের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন নবাব বেগম করিনা কাপুর খান। যদিও সেই পোস্ট কিছুক্ষণের মধ্যেই সরিয়ে নেন সইফ পত্নী। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সেলেব পাপারাৎজ্জিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন সইফ আলি খান ও করিনা কাপুর খান। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট মোতাবেক, তাঁদের জন্য বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন সইফিনা।
পতৌদি পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারকা কাপল। মিডিয়া রিপোর্ট মোতাবেক, সইফিনা তাঁদের দুই সন্তান তৈমুর আর জেহ-র ছবি তুলতে নিষেধ করেছেন। সেই সঙ্গে আর্জি করেছেন, বাড়ির বাইরে যেন পাপারাৎজ্জিরা ভিড় না করেন। সইফের উপর হামলার ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে।
এর মাঝেই মঙ্গলবার প্যাপেদের সঙ্গে বৈঠক করে ছবি তোলার ক্ষেত্রে নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন। ইন্ডিয়া টুডে-র রিপোর্ট অনুযায়ী, কোনও ইভেন্ট ছাড়া আর কখনও সইফ- করিনার ছবি তোলা যাবে না। ঘটনার দিনই সন্ধ্যায় সইফ পত্নী লিখেছিলেন, 'আমাদের পরিবার কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যে বিষয়গুলো নজরে আসেনি সেগুলো সামনে আনার চেষ্টা চলছে।'
আরও যোগ করেন, 'এইরকম একটা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যম ও পাপারাৎজ্জিরা এই কভারেজ বন্ধ করুন। সকলের ভাবনাকে আমরা সম্মান করছি। কিন্তু, এভাবে প্রতি মুহূর্তে আমাদের উপর নজরদারীটা ভাল লাগছে না। এতে আমাদের সুরক্ষা বিঘ্নিত হচ্ছে। আমাদের পরিবারকে এই পরিস্থিতিতে লড়াই করার জন্য একটু একা ছেড়ে দিন। আশা করি আমাদের মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছেন। অগ্রিম ধন্যবাদ।'
এরপরও হাসপাতালের বাইরে ছিল পাপারাৎজ্জিদের উপচে পরা ভিড়। ঘটনার চার-পাঁচ পর ফের সুর চড়িয়েছিলেন করিনা। তিনি কড়া সুরে লিখেছিলেন, 'এবার থামো। যদি সামান্য মনুষ্যত্ব বা বিবেক থাকে তাহলে দয়া করে আমাদের একটু একা ছেড়ে দিন।' পোস্টের শেষে করজোড়ের একটা ইমোজি। কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যেই পোস্ট সরিয়ে নেন বেবো।