Kareena Kapur Khan: করিনা কাপুর খানের মন খারাপ হলে, কে পাশে এসে দাঁড়ায়? রবিবার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে স্পষ্ট করলেন অভিনেত্রী। এদিন তৈমুরের একটি রিল সোশাল মাধ্যমে পোস্ট করেন করিনা। সেখানেই লেখেন, ‘ও আমার মন খারাপ হলে, ভালো করে দেয়।‘ অনুরাগী থেকে তাঁর বলিউড সতীর্থ, প্রত্যেকেই সেই পোস্টে লাইক-কমেন্টস দিয়ে করিনাকে স্বাগত জানান।
Advertisment
এদিকে, দা গার্জিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি করিনা কাপুর বলেছেন, ‘ভালো লেগেছে তাই দুই সন্তানের নামকরণ তৈমুর এবং জেহ দিয়েছেন। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই। আমার দুই সন্তান এখন নিষ্পাপ এবং নামগুলো সুন্দর। কিন্তু খুব দুর্ভাগ্যজনক, যখন কেউ সেই নাম নিয়ে ব্যাঙ্গ করেন। আমার খুব খারাপ লাগে, তাও নিজেকে সংযত রাখি। কারণ কারও ব্যাঙ্গ আমার জীবন চালনা করবে না।‘
ছোটবেলা থেকেই ফিল্মি পরিবারে মানুষ পুঁচকে নবাব তৈমুর। অনেকদিন ধরেই বাবা মাকে রুপোলি পর্দায় সে কাজ করতে দেখে। যত বড় হচ্ছে ক্রমশই যেন জিজ্ঞাস্য বাড়ছে ছোট নবাবের। বাবা সইফের নতুন ছবি বান্টি বাবলি-২ নিয়ে তার জিজ্ঞাস্য থামছেই না। আর সমস্ত বিষয় দারুণ উপভোগ করছেন সইফ।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তৈমুর এখন বেশ বুঝদার হয়ে উঠছে। মন দিয়েই বসে সিনেমা দেখতে বেশ আগ্রহী সে। শুধু তাই নয় বাবাকে অভিনীত চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন করতেও খামতি থাকছে না তার। অবশেষে জিজ্ঞেসই করে বসে, ‘তুমি হিরো নাকি ভিলেন? তুমি কি এই সিনেমায় মানুষ খুন করবে ? মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবে না তো?’ – হাজার প্রশ্নের ভিড় তার ছোট্ট মাথায়। আসলেই কেমন চরিত্রে বাবা অভিনয় করছে সেই নিয়ে বেজায় উৎসাহিত এবং কৌতূহলী তৈমুর।
বাধ্য হয়েই উত্তর দেন সইফ। ছেলেকে বুঝিয়েই বলেন, ‘এটি খুব মিষ্টি চরিত্র, কারওর খারাপ চান না, সবাইকেই ভালবাসেন, মানুষ মেরে ফেলার তো কোনও প্রশ্নই নেই। তবে হ্যাঁ একটু আধটু মানুষকে ঠকান এই আরকি’। এই কথা শুনেই বেশ গভীর চিন্তায় পড়ে যান ছোট নবাব। ব্যাস আর কি! ওমনি জিজ্ঞেস করে বসেন – ঠকানো মানে কি? এবার একেবারেই বাকরুদ্ধ সইফ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন