Kareena On Jeh-Taimur: ১৫ জানুয়ারি মধ্যরাতে সইফ আলি খানের উপর হামলর ঘটনায় জীবন আমূল বদলে গিয়েছে সইফিনার। বাড়ির বা কোনও রেস্তোরাঁর বাইরে দুই সন্তান জেহ-তৈমুরের ছবি তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন করিনা। সেই রাতে সইফের উপর হামলার সাক্ষী ছিলেন নবাব বেগম। তাই সেই আতঙ্ক যেন এখনও তাঁকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। প্রতি মুহূর্তে পরিবারের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত বেবো। শনিবার করিনার বাবা রণধীর কাপুরের জন্মদিনে সপরিবারে এসেছিলেন। সেখানেও তিনি পাপারাৎজ্জিদের মনে করিয়ে দেন, বাচ্চাদের ছবি তোলা বারণ।
সেলেব পাপারাৎজ্জিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে, করিনা বলছেন, 'শুধু আমার ছবি তুলে আপনারা চলে যান। আমি তো আগেই বলেছিলাম বাচ্চাদের ছবি দয়া করে তুবেন না। একটি ছবিও না।' পতৌদি পরিবারের খুদে সদস্যদের সুরক্ষার্থে করিনার অনুরোধ রেখেছেন প্যাপেরা। রেস্তোরাঁর বাইরে পাপারাৎজ্জিদের অনুরোধে হাসি মুখে পোজ দেন করিনা। ছবি তোলার পরও করিনা ফের আর্জি করেন, তাঁরা যেন কোনওভাবেই সন্তানদের ছবি না তোলেন।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/32774291-844.jpg)
পাপারাৎজ্জিরাও নরম সুরে বলেন, তিনি যখন না করেছেন তখন তাঁরা সেই কাজ কখনই করবেন না। বাবার জন্মদিন পার্টিতে একেবারে ছিমছাম লুকেই নজর কেড়েছেন করিনা। পরনে ব্যাগি ডেনিম জিন্সের সঙ্গে সাদা শার্ট আর চোখে রোদচশমা। প্রসঙ্গত সইফের উপর হামলার দিন সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পাপারাৎজ্জিদের উদ্দেশে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। করিনার মতে, তাঁদের প্রতিনিয়ত গতিবিধির উপর নজরদারির জন্যই তারকাদের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। এরপরও ইনস্টা স্টোরিতে আরও একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। সেখানেও তাঁদের উদ্দেশেই সুর চড়িয়েছিলেন বেবো। যদিও সেই পোস্ট কিছুক্ষণের মধ্যেই সরিয়ে নেন তিনি।
ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে পতৌদি পরিবার। হামলার ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে একটু একটু করে মুখ খুলছেন সইফ আলি খান। আপকামিং ছবির প্রচারে নেটফ্লিক্সের একটি ইভেন্টে গিয়েছিলেন ছোটে নবাব। একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় করিনার একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়। যা দেখে প্রাথমিক অনুমান কাজে ফিরলেন সইফ পত্নী।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/19a82278-ca0.jpg)
ধূসর রঙের সোয়েট শার্টের সঙ্গে জগার্স, রোদচশমা আর সাদা স্নিকারে 'গ্ল্যাম' অবতারে ভ্যানিটি ভ্যানের দিকে এগিয়ে যেতেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনুরাগীরা। নো-মেকআপ লুকে সেলেব পাপারাৎজ্জিদের দিকে তাকিয়ে হাতজোড় করে হাসিমুখে হেঁটে যান নবাব বেগম করিনা কাপুর খান।