Kareena Starts Shooting: ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে পতৌদি পরিবার। হামলার ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে একটু একটু করে মুখ খুলছেন সইফ আলি খান। আপকামিং ছবির প্রচারে নেটফ্লিক্সের একটি ইভেন্টে গিয়েছিলেন ছোটে নবাব। এবার সম্ভবত শুটিং ফ্লোরে ফিরছেন সইফ পত্নী করিনা কাপুর খান! সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল। যা দেখে প্রাথমিক অনুমান কাজে ফিরলেন করিনা।
ধূসর রঙের সোয়েট শার্টের সঙ্গে জগার্স, রোদচশমা আর সাদা স্নিকারে 'গ্ল্যাম' অবতারে ভ্যানিটি ভ্যানের দিকে এগিয়ে যেতেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনুরাগীরা। নো-মেকআপ লুকে সেলেব পাপারাৎজ্জিদের দিকে তাকিয়ে হাতজোড় করে হাসিমুখে হেঁটে যান নবাব বেগম করিনা কাপুর খান। সইফকান্ডের পর প্রথমবার সেলেব প্যাপেদের ক্যামেরাবন্দি অভিনেত্রী।
এদিনও নিরাপত্তারক্ষীরা ঘিরে রেখেছিলেন করিনাকে। সইফের উপর হামলার পর প্রথমবার করিনাকে দেখে উচ্ছ্বসিত ভক্তরা। সইফকান্ডের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলেব পাপারাৎজ্জিৎদের উপর ক্ষোভ উগরে দেন করিনা। তিনি লিখেছিলেন, 'আমাদের পরিবার কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যে বিষয়গুলো নজরে আসেনি সেগুলো সামনে আনার চেষ্টা চলছে। এইরকম একটা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যম ও পাপারাৎজ্জিরা এই কভারেজ বন্ধ করুন।'
সইফের উপর হামলার পর পাপারাৎজ্জিদের উদ্দেশে বারবার বলেছেন, তাঁরা যেন বাড়ির সামনে ভিড় না করেন। সবসময় তাঁদের ক্যামেরবান্দি করা থেকে বিরত থাকতে। এমনকী তৈমুর-জেহর ছবি যাতে না তোলা হয় সেই বিষয়ও অনুরোধ করেছেন সইফিনা।
এরপর প্যাপেদের উদ্দেশে আরও একটি পোস্টে ক্ষোভ উগরে দেন করিনা। যদিও সেই পোস্ট শেয়ার করার পরই সরিয়ে নিয়েছিলেন। সেখানে সুর চড়িয়ে লিখেছিলেন, 'এবার থামো। যদি সামান্য মনুষ্যত্ব বা বিবেক থাকে তাহলে দয়া করে আমাদের একটু একা ছেড়ে দিন।' পোস্টের শেষে করজোড়ের একটা ইমোজি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও একটি রহস্যময় পোস্ট করেন বেবো।
সেখানে লেখেন, 'বিয়ে, বিবাহবিচ্ছেদ, মনের ভিতর প্রবল চাপ, সন্তান জন্ম দেওয়া, ভালবাসার মানুষের মৃত্যু আর মা-বাবা হিসেবে দায়িত্ব পালন- যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার সঙ্গে এগুলো ঘটছে ততক্ষণ পর্যন্ত সত্যিই উপলব্ধি করতে পারবেন না। যখন আপনার জীবনে এই কঠিন সময় আসবে তখন বাস্তবটা বুঝতে পারবেন। তার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত নিজেকে স্মার্ট মনে হবে'। এই পোস্টের নেপথ্যে কোন কারন সেটা অবশ্য খোলসা করেননি সইফ পত্নী। সইফের উপর হামলার ঘটনা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। তাঁদের উদ্দেশেও নীরব প্রতিবাদ হতে পারে বলে মনে করেন অনেকে।