শেষ কিছু মাসে খান পরিবারের ওপর দিয়ে যা গিয়েছে, সেকথা অনেকেই জানেন। বলিউডের ছোটে নবাবকে বাড়িতে ঢুকেই ছুরি দিয়ে আঘাত করেন এক আততায়ী। তারপর যদিও বা তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু সইফের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটার পর, করিনা যেন অন্তর থেকে একটু বেশীই ভেঙে গিয়েছেন। যখন এই ঘটনা ঘটে, বাড়িতেই ছিলেন তিনি তারপরেও স্বামীকে আঘাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি।
পরবর্তীতে বরং, তিনি জানিয়েছিলেন, যে এই ঘটনা ঘটার পেছনে পাপারাজ্জিদের অনেক ভূমিকা রয়েছে। তাঁরা যেভাবে তারকাদের প্রতিটা পদক্ষেপে ফলো করেন, তাতে করে এই ঘটনা নেহাতই স্বাভাবিক। এবং তিনি অনুরোধ করেছিলেন, যেন বাচ্চাদের ছবি না তোলেন তাঁরা। মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করিনা, বেশ অনেকদিন সমাজ মাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন না। শুধু তাই নয়, নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন সবকিছু থেকেই। তবে, আবারও বাস্তব ছন্দে ফিরেছেন তিনি।
গতকাল তাঁকে দেখা গিয়েছে একটি অনুষ্ঠানে। পরনে ফ্লোরাল পোশাক, বহুদিন পর তাঁকে দেখা গেল খোশমেজাজে। তাঁর আগে যখন পরিবারের ওপর ঝড় এসেছে, তখন তিনি বারবার একটাই কথা বলেছিলেন, যেন কেউ প্রাইভেসি ভেঙে কিছু করার চেষ্টা না করেন। সবকিছুই সময়ে সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। এখন তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে একা থাকার দরকার। এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি। তবে, বর্তমানে অনেকটাই স্থিতি ফিরে পেয়েছেন। গতকাল যে অনুষ্ঠানে তিনি গিয়েছিলেন, সেখান থেকে বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন...
"অন্ধকারের পর আলো আসে। সমস্ত নেতিবাচক কিছু দূরে সরিয়ে ফেলে, আসন্ন সুন্দর মুহূর্তকে শরীরে মেখে নেওয়াটাই আসল। ভালবাসার উদযাপন এবং পরিবারের সঙ্গে সুখে থাকা, জীবনের নানা মুহূর্ত বেঁচে নিলাম। ভালবাসা সব ঠিক করে দেয়, এটাই তাঁর প্রমাণ।"
করিনা যে বেজায় ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন সেদিনের ঘটনায়, একথা বারবার জানিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে রীতিমতো বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছেন। তাঁর বাড়িতে বেড়েছে নিরাপত্তা। যদিও, সইফ তাঁর বয়ানে জানিয়েছিলেন, সেই ব্যক্তি যে তাঁকে ছুরিকাঘাত করেছিলেন, তিনি বোধহয় জেনে শুনে এই কাজ করেননি। হয়তো জানতেন না যে সেটা সইফ আলি খানের বাড়ি। এবং এই ঘটনার পর সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হলে, জানা যায় তিনি বাংলাদেশী।