Kareena Anger Post Delete: ১৫ জানুয়ারি বুধবার মধ্যরাতে 'সৎগুরু শরণ'-এ ঢুকে সইফের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতী। ছ'বার ছুরিকাঘাত কার হয় তাঁকে। পিঠ গেঁথে ছিল আড়াই ইঞ্চি ছুরি। অস্ত্রোপচারের পর এখন ভাল আছেন ছোটে নবাব। শীঘ্রই বাড়ি ফিরবেন পতৌদি নবাব সইফ আলি খান। ঘটনার পর এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন নবাব বেগম করিনা কাপুর খান তাঁকে নিজের বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন করিশ্মা।
সইফের বাড়ি ফেরার আগে 'সৎগুরু শরণ'-এ তৈমুর-জেহকে নিয়ে ফিরে এলেন বেবো। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন করিনা। ইনস্টা স্টোরিতে সুর চড়িয়ে লিখেছিলেন, যদি বিবেক থাকে তাহলে তাঁদের পরিবারকে যেন একা ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপরই সেই পোস্ট সরিয়ে দেন বেবো।
পোস্টে ঠিক কী লিখেছিলেন করিনা? তিনি লেখেন, 'এবার থামো। যদি সামান্য মনুষ্যত্ব বা বিবেক থাকে তাহলে দয়া করে আমাদের একটু একা ছেড়ে দিন।' পোস্টের শেষে করজোড়ের একটা ইমোজি। প্রসঙ্গত, সইফের সঙ্গে এই মারাত্মক ঘটনার পরও ইনস্টাগ্রামে করিনা একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন।
সেখানেও তিনি এইরকমই আর্জি জানিয়েছিলেন। করিনা লিখেছিলেন, 'আমাদের পরিবার কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যে বিষয়গুলো নজরে আসেনি সেগুলো সামনে আনার চেষ্টা চলছে। এইরকম একটা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যম ও পাপারাৎজ্জিরা এই কভারেজ বন্ধ করুন।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/indiatoday/styles/medium_crop_simple/public/2025-01/defwerfer.png?VersionId=5d8iQVhJJDGElA4ft2e_5zRDyT3nHi7u)
ঘটনার দিনই সন্ধ্যায় সইফ পত্নী আরও লেখেন, ' সকলের ভাবনাকে আমরা সম্মান করছি। কিন্তু, এভাবে প্রতি মুহূর্তে আমাদের উপর নজরদারীটা ভাল লাগছে না। এতে আমাদের সুরক্ষা বিঘ্নিত হচ্ছে। আমাদের পরিবারকে এই পরিস্থিতিতে লড়াই করার জন্য একটু একা ছেড়ে দিন। আশা করি আমাদের মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছেন। অগ্রিম ধন্যবাদ।'
এই পোস্টে কোনও লাভই হয়নি। হাসপাতালের বাইরে পাপারাৎজ্জিদের ভিড়। প্রতি মুহূর্তের আপডেট রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাই ঘটনার চার-পাঁচ পর ফের সুর চড়ালেন করিনা। কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যেই পোস্ট সরিয়ে নেন বেবো।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার মধ্যরাতে তাঁদের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। পুলিশের কাছে শরিফুল স্বীকার করেছেন, তিনিই সইফের উপর হামলা করেছিলেন। সূত্রের খবর, চুরির উদ্দেশ্য নিয়েই সইফের বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন তিনি।