Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

কৃষক আন্দোলন নিয়ে ট্যুইট বিপদ বাড়াল কঙ্গনার! কর্ণাটক হাইকোর্টে খারিজ অভিনেত্রীর আবেদন

টুমকুরের নিম্ন আদালত ইতিমধ্যে পুলিশকে সেই বিতর্কিত ট্যুইটের জন্য কঙ্গনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে নির্দেশ দিয়েছে। ফলে, হাইকোর্ট এই নির্দেশে স্থগিতাদেশ না দেওয়ায় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর হচ্ছেই। এমনটাই কর্ণাটক পুলিশ সূত্রে খবর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিতর্কিত ট্যুইট করে বড়সড় বিপাকে পড়লেন কঙ্গনা রানাউত। কর্নাটকের টুমকুরের এক আদালতে এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলায় স্থগিতাদেশ চেয়ে কর্নাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কঙ্গনা। কিন্তু হাইকোর্ট থেকে তাঁকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। নিম্ন আদালতে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে চলা মামলায় হস্তক্ষেপ করবে না হাইকোর্ট। মঙ্গলবার স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। টুমকুরের নিম্ন আদালত ইতিমধ্যে পুলিশকে সেই বিতর্কিত ট্যুইটের জন্য কঙ্গনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে নির্দেশ দিয়েছে। ফলে, হাইকোর্ট এই নির্দেশে স্থগিতাদেশ না দেওয়ায় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর হচ্ছেই। এমনটাই কর্নাটক পুলিশ সূত্রে খবর।  

Advertisment

যদিও এই পর্যবেক্ষণের পরেও যথেষ্ট আক্রমণাত্মক কঙ্গনা রানাউত। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘আরও একদিন, আরও একটা এফআইআর। গতকাল জাভেদ চাচা মহারাষ্ট্র সরকারের সাহায্যে আমার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করিয়েছেন। এখন আবার কৃষি আইনের পক্ষে দাঁড়িয়ে এফআইআর দায়ের হল। তবুও যারা কৃষক গণহত্যা নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হল না।‘

এদিকে, সোমবার কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হল। মুম্বইয়ের একটি আদালত  এই পরোয়ানা জারি করেছে। জাভেদ আখতারের প্রতি মানহানিকর মন্তব্যের বিরোধিতায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল বান্দ্রার একটি আদালতে। আখতারের আইনজীবী নিরঞ্জন মুন্দেরগি সেই মামলা দায়ের করেন। তারপর পয়লা ফেব্রুয়ারি কঙ্গনাকে শুনানিতে হাজিরা দিতে নোটিশ পাঠায় আদালত।

কিন্তু একাধিকবার সেই সমন উপেক্ষা করে গরহাজির ছিলেন সেই অভিনেত্রী। তাই এবার কঙ্গনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল বান্দ্রার ওই কোর্ট।  আদালতে আখতারের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, ‘জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁর মক্কেলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন কঙ্গনা রানাউত।’ এই মামলার প্রেক্ষিতে গত জানুয়ারি মাসে জাভেদ আখতারের বয়ান রেকর্ড করে জুহু থানার পুলিশ।

সেই বয়ানের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারি মাসে কঙ্গনাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ ও ৫০০ ধারায় অভিযুক্ত সাব্যস্ত করে শুনানি শুরু করতে নির্দেশ দেন বিচারক। এই ধারা প্রয়োগের ক্ষেত্রে আখতারের জবানবন্দি এবং প্রচারমাধ্যমের ভিডিও ক্লিপকে প্রামাণ্য নথি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি জুহু থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে।

kangna-ranaut Farmer Protest FIR Karnataka High Court
Advertisment