তিন মিনিটের ট্রেলার। ভৌতিক কাণ্ড-কারখানায় গায়ে কাঁটা দেওয়ার পাশাপাশি পেটে খিল ধরাবে কার্তিক আরিয়ানের কীর্তি। 'ভুল ভুলাইয়া ২'র ট্রেলার রিলিজ করতেই মিলল তার ইঙ্গিত। হরর-কমেডি ঘরানার ছবি। তবে ট্রেলার প্রকাশ্যে আসতেই অক্ষয় কুমারকে 'মিস' করছেন অনুরাগীরা।
বহু প্রতীক্ষার পর শেষমেশ মঙ্গলবার দুপুরে 'ভুল ভুলাইয়া ২'র ট্রেলার মুক্তি পেল। অতিমারীর কারণেই বছর দুয়েক পিছিয়ে গিয়েছিল রিলিজ। এমনকী, বিগ বাজেট সিনেমার সঙ্গে বক্স অফিসে দৌরাত্মের সংশয়ে একাধিকবার বদল ঘটেছে রিলিজ ডেটেও। তবে এদিন নির্মাতাদের তরফে ট্রেলার প্রকাশ্যে নিয়ে আসার পাশাপাশি মুক্তির দিনক্ষণও ঘোষণা করা হয়েছে।
২০০৭ সালে মুক্তি পাওয়া 'ভুল ভুলাইয়া'র সিক্যুয়েল এই ছবি। যেখানে অক্ষয় কুমার , শাইনি আহুজা, বিদ্যা বালন, পরেশ রাওয়াল ও রাজপাল যাদবকে দেখা গিয়েছিল। তবে সিক্যুয়েলের কাস্টিং আরও তারকা-খচিত। অক্ষয়ের পরিবর্তে রাজপ্রাসাদ থেকে ভূত তাড়ানোর দায়িত্বে কার্তিক আরিয়ানকে দেখা গিয়েছে। রয়েছেন রাজপাল যাদবও। এছাড়াও দ্বৈত ভূমিকায় কিয়ারা আডবানি। একাধারে যেমন মঞ্জুলিকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি, অন্যদিকে রাজঘরানার আদুরে মেয়ের চরিত্রেও দেখা গেল তাঁকে। ট্রেলারে নজর কাড়লেন তাব্বুও। ভিতু পুরোহিতের ভূমিকায় ধরা দিলেন সঞ্জয় মিশ্র। আর ভূল-বাংলোর রাজপরিবারের ঠাকুর সাহেবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজেশ শর্মা। আগামী ২০মে প্রেক্ষাগৃহে আসছে 'ভুল ভুলাইয়া ২'।
আগের তুলনায় প্লটে অনেকটাই পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন পরিচালক অনীশ বাজমি। ভৌতিক রহস্য, রোমাঞ্চ আর কৌতূক, বিনোদনের সব উপকরণই রয়েছে গল্পে। ট্রেলার শেয়ার করে গোটা টিমকে শুভেচ্ছা জানালেন 'পুরনো মঞ্জুলিকা' বিদ্যা বালনও।
তবে উল্লেখ্য, এই সিনেমার শুটিংয়ের সময় গলার স্বর হারিয়ে ফেলেছিলেন কার্তিক। কীভাবে? ড্রামাটিক এক সিকোয়েন্সের শুট চলছে। সবাই চুপ। বেজায় উত্তেজনার দৃশ্য। কার্তিক আরিয়ান আর বিপরীতে তাব্বুর অভিনয়। চলছে চিল-চিৎকার। সবাই একমনে দেখছে সেই দৃশ্য। কিন্তু হঠাৎ-ই একসময়ে কার্তিকের কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। অভিনেতা দেখেন, তাঁর গলা থেকে আওয়াজ বেরচ্ছে না আর।অভিনেতা নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন সেকথা। সেটে উপস্থিত সবার তো তখন থর হরি কম্প পরিস্থিতি! বলছেন, এ কেমন ভৌতিক কাণ্ড! সিনেমার মূল চরিত্র আর তাঁর গলা থেকে নাকি কোনওরকম আওয়াজই বেরচ্ছে না। ভয়ে পেয়ে শুটিং থামিয়ে তড়িঘড়ি ডাক্তার ডাকা হয়। তিনি কার্তিককে কিছুক্ষণ দেখার পর বলেন, বেশি চেঁচামেচি করার ফলেই স্বরযন্ত্রের ক্ষতি হয়েছে। তাই দিন কয়েক কোনওরকম কথা নয়। গলাকে একেবারে বিশ্রাম দিতে হবে। পরে অবশ্য বিশ্রাম নিয়ে কার্তিক পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন।
কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক কী ঘটেছিল? আসলে কার্তিক ভীষণই প্যাশনেট অভিনেতা। তাই পুরোপুরি চরিত্রের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিলেন। অতঃপর চিত্রনাট্যের পাতা থেকে তাঁর চরিত্রকে বাস্তবরূপ দিতে কোনওরকম খামতি রাখেননি। চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে গিয়েই অতিরিক্ত চেঁচামেচি করে ফেলেছিলেন। সেকারণেই স্বরযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যে চরিত্রকে রূপ দিতে গিয়ে এতটা কসরত করেছেন কার্তিক, পর্দায় তার সাক্ষী হতে, ইতিমধ্যেই উৎসুক দর্শকরা। তবে অক্ষয়-অনুরাগীদের মতে আবার, প্রথমভাগে খিলাড়ি কুমার-ই নাকি এই চরিত্রের জন্য উপযুক্ত ছিলেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন