দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের দ্রাবিড় রাজনীতির অবসান। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন এম করুণানিধি। বিশিষ্ট এই রাজনীতিক একজন বিখ্যাত চিত্রনাট্যকারও ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে শোকাহত কলিউড।
দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের দ্রাবিড় রাজনীতির অবসান। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন এম করুণানিধি। বিশিষ্ট এই রাজনীতিক একজন বিখ্যাত চিত্রনাট্যকারও ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে শোকাহত কলিউড।
কাবেরী হাসপাতাল থেকে গতকাল দুপুরে শেষ প্রকাশিত বুলেটিনে জানানো হয়েছিল, সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও ডিএমকে সুপ্রিমোর শারীরিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে, তাঁর শরীরের একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে পড়েছে৷ এরপরই আসে বজ্রনিঘোর্ষ। আর নেই এম. করুণানিধি।
Advertisment
বিশিষ্ট রাজনীতিকের পাশাপাশি তিনি ছিলেন চিত্রনাট্যকারও। তামিল ছবি দিয়েই যাত্রা শুরু করেছিলেন। ১৯৪৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর লেখা প্রথম ছবি, কিন্তু তার প্রতিভা স্বীকৃতি পায় ১৯৫২ সালে 'পরাশক্তি' ছবিতে। শিবাজী গণেশনও এই ছবিতে ডেবিউ করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একটি পরিবারের বারবার সংঘাতের সম্মুখীন হওয়ার চিত্রনাট্য লিখেছিলেন তিনি। তাঁর লেখা বেশ কিছু নাটক নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কোনোদিনই মুক্তচিন্তার কথা বলতে ভয় পাননি করুণানিধি। ২০১১ সালে চিত্রনাট্যকার হিসাবে তাঁর শেষ ছবি 'পোন্নার শঙ্কর' মুক্তি পেয়েছিল। তাঁর জীবনাবসানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে কলিউডে।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এম. করুণানিধি। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরে দ্রাবিড় রাজনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হয়ে রয়েছিলেন তিনি৷ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এমজি রামচন্দ্রণের দল এআইএডিএমকে’র কাছে ১৯৯১-এর নির্বাচনে পরাজিত হয়েও ১৯৯৬-তে আবারও কাজে ফিরে আসেন তিনি৷ ২০০১-তে একইভাবে তাঁর দলকে পরাজিত করেন এআইএডিএমকে নেত্রী জয়ললিতা৷ কিন্তু রাজনীতির আঙিনায় আবারও ফেরেন ২০০৬ সালে৷ ২০১৬-র তামিল নাড়ু নির্বাচনে লড়ে জয় লাভ করেন। এদিন টুইটারে শোকপ্রকাশ করেন বহু তারকা।
মৃত্যুর পর তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন কমল হাসন, রজনীকান্তের মতো অভিনেতারা। চেন্নাই পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।