কৌন বনেগা ক্রোড়পতির ১০ নম্বর সিজন আবারও নিজের যাদুতে ফিরে এসেছে। আবারও দর্শকের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে এই শো। দু দশক ধরে চলে আসা এই শোয়ের আগেও দর্শক সংখ্যা নেহাত কম ছিল না। এখন তা বেড়েছে বই কমেনি। শোয়ের কনসেপ্ট, বুদ্ধিমত্তার সাথে তার পরিচালনা সবটাই এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন কর্মকর্তারা। অমিতাভ বচ্চনের সঞ্চালনায় কেবিসি ১০ তৃতীয় সপ্তাহে পা রাখল। আর ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি নিজের পুরোনো ছাঁচে ফিরে এসেছে কুইজের এই রিয়্যালিটি শো।
শোয়ের প্রথম কিছুদিন খেলা আর প্রতিযোগীদের ব্যাকস্টোরি নিয়ে কথা বলার মধ্যে একটা সামঞ্জস্য দেখা গেলেও পরের দিকে তা হারিয়ে যেতে শুরু করেছে। এখন অনেক বেশি সময় চলে যাচ্ছে প্রতিযোগীদের নেপথ্য গল্প বলতে। কীভাবে তাদের বাবা মা কষ্ট করে পড়াশোনা করিয়েছেন ছেলেমেয়েকে, সেই কাহিনিই প্রাধান্য পাচ্ছে বেশি। মানুষের গল্প বলাই কিন্তু প্রথম থেকেই কেবিসির উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে একটা ছিল। আর সেটা গর্বের সঙ্গে বহন করে চলেছে তারা। আবার একটি এপিসোডে দেখা যাচ্ছে প্রতিযোগী রেলে কাজ করেন কিন্তু পিএনআরের পুরো মানে জানেননা। এটা দেখা কিছুটা অদ্ভুতও যে রেলের কর্মচারী এই প্রশ্নটার সঙ্গে লড়াই করছেন।
আরও পড়ুন, ২২ বছর পরে একসঙ্গে ঋষি কাপুর ও জুহি চাওলা
আর অমিতাভ বচ্চনের ম্যাজিক, মেনে নেওয়া ছাড়া দ্বিতীয় কোনও রাস্তা নেই। ভাবলেও খুঁজে পাওয়া কষ্টকর যে তিনি ছাড়া অন্য কেউ এই শোয়ের সঞ্চালনার দায়িত্ব নিয়েছেন। ক্লাসিক ফরম্যাল পোষাকে ওই চেয়ারে বসে অমিতাভ বচ্চনই শোয়ের উত্তেজনা ধরে রাখেন, একথা বললে অন্যায় বলা হবে না।
তবে এই শোয়ের ফরম্যাটের কিছু পরিবর্তন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। অপ্রয়োজনীয় ফোন আ ফ্রেন্ড লাইফলাইন অবশেষে বিদায় নিয়েছে। সেখানে এসেছে আস্ক দ্যা এক্সপার্টের মতো সুযোগ। আসলে ফোনের ওই হেল্পলাইনে প্রশ্ন শুনতে শুনতেই সময় চলে যেত, বলা চলে কোনও কাজেরই ছিল না। আর কেবিসিই ঘরে বসে দর্শকদের খেলার সুযোগ করে দিয়েছে।