/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/09/kaushik-2025-10-09-13-46-33.png)
কী বলছেন তিনি?
পুজোর বাংলা বির লড়াইয়ে নাকি একেবারেই ছিটকে গিয়েছে যে ছবি তাঁর মধ্যে দেবী চৌধুরানী অন্যতম? রঘু কাডাত এবং রক্তবীজের চাপে সেই ছবি একেবারেই কোণঠাসা? নাকি বাঙালি একেবারেই নিদারুণ দৃঢ় ভবানী পাঠক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে পেল? দেবী চৌধুরানী যারা পড়েছেন তাঁরা যেমন ছবিটার সঙ্গে নিজেদের কানেক্ট করতে পারবেন ঠিক তেমনই পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলি নিজেই জানিয়েছেন, এই ছবির ঠিক কোনদিকটা একেবারেই তাঁর ভাল লাগেনি।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় যে এই ছবিতে ভবানী পাঠক হিসেবে যথেষ্ট জাস্টিস করেছেন সেকথা দর্শক নিজেও বলবেন। কিন্তু, কৌশিক গাঙ্গুলির চোখে এবারও একশোয় একশো প্রসেনজিৎ। তিনি তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র। এবং, কৌশিক গাঙ্গুলি সমাজ মাধ্যমে লিখছেন, "কাহিনির বিচারে রিলিজের আগেই বাকি তিনটে ছবির থেকে আভিজাত্যে এগিয়ে ছিলো এই ছবি। ক্লাসিক সাহিত্যের এমনি জোর যে দুর্বল গ্র্যাফিক্সও এ ছবির রস পন্ড করতে পারেনি। অভিনয়ে সবাই খুব ভালো। দর্শনা, অর্জুন , বিবৃতি ও বিশেষ করে শ্রাবন্তীর নিষ্ঠাকে কুর্নিশ।"
অভিনেতা হিসেবে সকলের প্রিয় বুম্বা আর প্রশ্ন করার দাবি রাখেন না। কারণ, একের পর এক চরিত্রে, মনের মানুষ হোক বা ময়ুরাক্ষী অথবা কাকাবাবু, তিনি অনবদ্য। কৌশিক বলছেন, "প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ভবানী পাঠককে বাস্তব করে দিয়েছেন তাঁর একাগ্রতায় ও অভিজ্ঞতায়। সংস্কৃত উচ্চারণেও উনি যথেষ্ট যত্নশীল ছিলেন। বড় পর্দায় বুম্বাদার উপস্থিতি সত্যিই বিশেষ একটা পরিমন্ডল তৈরী করে। ৪৫০টা ছবির পরও তাঁর এই অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে প্রণাম। আবার বড়দিনে এই মানুষটাই বেমালুম কাকাবাবু হয়ে উঠবেন।"
কিন্তু, বিবৃতি-শ্রাবন্তির অভিনয় ভাল লাগলেও একটা নির্দিষ্ট দিক তাঁর একেবারেই ভাল লাগেনি। সেকারণেই, তিনি হাজার ভালর মাঝে সেই খারাপটাও নির্দিষ্ট করেছেন। কোন বিষয়টা খুব একটা ভাল লাগেনি তাঁর? তিনি আরও বলছেন, "বিক্রমের আবহ ছবিকে প্রতি পদে খুব সাহায্য করেছে। ছবিতে নেপথ্য ভাষ্য দিয়েছেন গৌতম ভট্টাচার্য । তাঁর বাচনভঙ্গী ও লয় এই বঙ্কিম ইউনিভার্সকে আরো বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে। না বললে অন্যায় হবে, বিবৃতিদের ডাবিংয়ে কাল্পনিক ভাষার অপটু আঞ্চলিকতার অনুকরণ আমার খুব কানে লেগেছে।"
কিন্তু তিনি অপেক্ষায় আছেন রঘু ডাকাতের। তাঁর ভানু আদৌ পর্দার ডাকাত রাজা হয়ে উঠতে পারলেন কিনা সেটাই দেখতে চান তিনি।