"মুম্বইয়ের ডিস্ট্রিবিউটররা হুলিয়া জারি করে হলের সমস্ত শোয়ের স্লট দখল করে নিচ্ছে। যার পরিণাম ভুগতে হচ্ছে বাংলা সিনেমাকে। প্রসাশনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া..", মন্তব্য কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের।
আসলে পাঠান রিলিজের জন্য হলে স্লট পাচ্ছে না বাংলা সিনেমা। বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর শাহরুখ খান। আর তাঁর সিনেমা রিলিজের জন্যই কিনা প্রেক্ষাগৃহ ছেড়ে দিতে হচ্ছে বাংলা সিনেমাকে! নিজের রাজ্যে হল মালিকদের একাংশের কাছে ব্রাত্য হয়ে উঠেছে বাংলা সিনেমাই। রমরমিয়ে ব্যবসা করা কিংবা সমালোচকদের মার্কশিটে বিরাট নম্বর পেয়েও 'প্রজাপতি'কে হল থেকে উঠে যেতে হয়েছে পাঠান-এর জন্যই। এদিকে মুক্তির সপ্তাহ ঘুরতেই 'কাবেরী অন্তর্ধান'-এরও সেই একই হাল! এবার সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়।
পরিচালকের কথায়, "এটা মহারাষ্ট্র কিংবা দাক্ষিণাত্যে হয় না। শুধুমাত্র বাংলাতেই হয়। কারণ বাঙালিরা সহনশীল। নিজের রাজ্যেও যশরাজ এটা করতে পারবে না। বলিউডের একটা ঘাগড়া-চোলির দামে টলিফডের তিনটে সিনেমা হয়ে যায়। বাংলায় ১ থেকে ২ কোটি টাকায় সিনেমা তৈরি হয়। এর থেকে ওখানকার ক্যামেরাম্যানরা বেশি টাকা পান। আমরা কিন্তু আজ রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছি। সরকারের ওপর আমার আস্থা আছে।" দিন দুয়েক আগে অতনু রায়চৌধুরিও প্রতিবাদ করেছিলেন।
এপ্রসঙ্গে এবার কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, "পাঠান-এর মতো সিনেমা সারা দেশে ১০ হাজার হল পেতে পারে। কিন্তু বাংলা সিনেমা মোটে ৪০ থেকে ৫০টা হল পায়। সেটাও যদি দখল হয়ে যায়, তাহলে বাংলার পরিচালক-প্রযোজকরা কি রেঙ্গুন বা বেজিংয়ে গিয়ে সিনেমা দেখাবে?" কৌশিকের সুর ধরে প্রতিবাদ অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্যেরও।
<আরও পড়ুন: কোক-পেপসি এক দোকানে নেই! ‘পাঠান’-কে বিঁধে কোণঠাসা বাংলা ছবির হয়ে সুর চড়ালেন অনিন্দ্য>
বাংলা সিনেমার সুদিন আর দুর্দিন… এই নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝেমধ্যেই লম্বা হ্যাজ নামিয়ে প্রতিবাদী রব ওঠে! 'বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়ান'- এমন কাতর আর্জিও শোনা যায় বারংবার। কিন্তু মুশকিলটা হল, বাংলার প্রেক্ষাগৃহে বাংলা সিনেমা-ই যদি ব্রাত্য থাকে কিংবা উদ্ভট স্লট পায়, তাহলে দর্শকদের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগটা কোথায়? উপরন্তু অতিমারী উত্তর পর্বে ইন্ডাস্ট্রির লক্ষ্মীভাণ্ডারে ভাঁটা! খান কয়েক সিনেমার হাত ধরে সুদিন ফিরলেও এই স্লট না পাওয়ার বিষয়টি মাঝেমধ্যেই চাগাড় দিয়ে ওঠে। এবার পাঠান রিলিজ করতেই ডিস্ট্রিবিউটারদের চাপে বাংলা সিনেমাকে কোণঠাসা করে দিয়েছেন হল মালিকেরা।