/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/05/kaushik.jpg)
কৌশিক সেন...
নাটক তাঁর রক্তে, থিয়েটার তাঁর রন্ধ্রে... একসময় নাট্যমঞ্চ দিয়েই শুরু করেছিলেন যাত্রা। কিন্তু তারপর সিনেমা কিংবা সিরিয়াল, সবেতেই তাঁর অবাধ যাতায়াত। এতবছরের দীর্ঘ অভিনয় জীবন, কৌশিক সেন দেওয়া হল গিরিশ পুরস্কার।
পশ্চিমবঙ্গ তথ্য এবং সংস্কৃতি বিভাগের পক্ষ থেকে বিশেষ করে থিয়েটারের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন কৌশিক সেন। খবর ভাগ করেন নিলেন ছেলে ঋদ্ধি। বাবার গর্বে গর্বিত সেও। লিখলেন..."পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমি, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের পক্ষ থেকে থিয়েটারের জন্য এই বছরের গিরিশ পুরস্কারের প্রাপক কৌশিক সেন। প্রায় ৩০ বছর পূর্বে এই পুরস্কারের সূচনা। যার কাছে জীবনের ৫৪টা বছরের দিনের শুরু এবং শেষ হয়েছে ‘The Empty space’ দিয়ে , প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত সে বদলে দিচ্ছে এই ‘empty space’ কে তার সময়ের তুলি দিয়ে। To one of the finest and best theatre soldier , I’ve ever known , to a truly complete artist, চলতে থাকুক এই যাত্রা , চলতে থাকুক এই খোঁজা সময়ের সাজঘরে।"
আরও পড়ুন < প্রয়াত বন্ধুর প্রতি কর্তব্যে অটল অনুপম, সতীশের মেয়ের আবদার রাখতে যা করলেন তিনি… >
তবে, এই পুরস্কারের আসল ভূমিকা কিন্তু অন্য জায়গায়। কৌশিক সেন এটি উৎসর্গ করছেন সমাজের এক বিশেষ ব্যক্তিত্বের কাছে। সাম্মানিকটি তিনি পৌঁছে দিচ্ছেন চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষের কাছে। যিনি প্রতিনিয়ত শিশু চিকিৎসায় রত। ঋদ্ধি জানালেন..".আমার দাদু চলে যান যখন আমার বাবার ১৪ বছর বয়েস, কিডনি ফেইলিউর। একজন শিল্পীর কাছে সম্মানটাই আসল, তাই এই পুরস্কারের সাথে যুক্ত সাম্মানিকের প্রয়োজনীয়তা অন্যত্র। এটা হয়তো একটা বিরাট সমুদ্রে এক চামচ জলের মতো , তবুও, বাবা এই সাম্মানিক পৌঁছে দিচ্ছেন Dr অপূর্ব ঘোষের কাছে, যিনি প্রতিদিন চেষ্টা করছেন বহু শিশুদের ডায়ালিসিসের যন্ত্রনা থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি দিতে। এটা অতি ক্ষুদ্র একটা প্রচেষ্টা, তবে শিল্প এবং শিল্পীর কিছু কর্তব্য থেকে যায়, থাকবেই।"
শিল্পীর প্রচেষ্টা এবং কাজের কোনও শেষ নেই। তাঁদেরও এই সমাজের প্রতি অনেক কর্তব্য। সেই জ্ঞান থেকেই কৌশিক সেনের এই উৎসর্গ। শেষ একবছর অরিন্দম হিসেবে মন জয় করেছেন দর্শকদের। সামনেই শেষ হওয়ার পালা গোধূলি আলাপের। কিন্তু কাজ এখনও অনেক বাকি।