/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/12/3-4.jpg)
ঋষভকে বিঁধলেন কৌশিকী
শাস্ত্রীয় সংগীতকে অবমাননা! ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের কিপার ঋষভ পন্থকে তুলোধোনা সঙ্গীত শিল্পী কৌশিকী চক্রবর্তীর। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরাট শোরগোল। কী হয়েছে আসলে?
ড্রিম ১১ এর একটি বিজ্ঞাপনে একজন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল ঋষভকে। যাকে বলতে শোনা যায় একজন ক্রিকেটার না হলে তিনি এটিই হতেন। ভাগ্যিস নিজের স্বপ্নকে ফলো করছেন তিনি। সাদা পাঞ্জাবি, উত্তরীয় এবং মাথায় কাঁচা পাকা ঝাঁকড়া চুল, ঋষভকে এই ভূমিকায় দেখেই রেগে আগুন কৌশিকী চক্রবর্তী। আওয়াজ তুললেন টুইটারে। বললেন...
"এই বিজ্ঞাপন দেখে আমি যে কতটা ব্যথিত তা ব্যক্ত করার মত শব্দ আমার কাছে নেই। এই বিজ্ঞাপন দেখে ঘৃনা হচ্ছে আমার। নিজের ঐতিহ্যকে অবহেলা করছ? তোমায় বোকা বোকা দেখাচ্ছে ঋষভ। এটি পণ্ডিত রবিশঙ্কর, ভীমসেন যোশী এবং উস্তাদ জাকির হোসেনের গান, কোনও ধারণা আছে তোমার? নিশ্চিত, অনেক টাকা পেয়েছ কিন্তু আদৌ এটা মূল্যবান?" কৌশিকীর সঙ্গে সহমত হয়েছেন অনেকেই। নিজের সংস্কৃতিকে ছোট করায় রেগে আগুন আরও অনেকেই।
I don’t have words to express my disgust and the ugliness of this commercial. Disrespecting your legacy makes you look like a fool @RishabhPant17 .This is the music of Pdt Ravi Shankar, Utd Zakir Hussain, Pdt Bhimsen Joshi. I’m sure u earn a fortune by doing this,but it is worth? https://t.co/is4fCOz4Yt
— Kaushiki (@Singer_kaushiki) December 9, 2022
এখানেই শেষ নয়, বরং তিনি আরও বলেন "আমি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সাধনা করি। ক্রিকেট ফলো করি না। কিন্তু, আপনার কাজের ক্ষেত্রকে আমি অপমান করিনি। যেটা বোঝার ক্ষমতা নেই, তখন তাঁর প্রতি একটু শ্রদ্ধাশীল হন। নিজের ঐতিহ্যকে নিয়ে ছোট করলে আপনাকেই সকলে বোকা বলবে"। যদিও জানা যাচ্ছে, ঋষভ এই বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত সমস্ত ট্যুইট ডিলিট করেছেন। তবুও তাঁর তরফে কিছুই জানা যায় নি।
I’m a practising Indian Classical Musician and I don’t follow cricket but I’ve never disrespected your field of work. When u haven’tbeen trained to understand something atleast be sensible enough to be respectful towards it. Making fun of your heritage makes you look like a fool
— Kaushiki (@Singer_kaushiki) December 9, 2022
ভারতীয় সঙ্গীতের এহেন অপমানে আওয়াজ তুলেছেন অনেকেই। বক্তব্য একটাই, একজন সেলিব্রিটি যা খুশি তাই করতে পারেন না। তাঁর আরও সতর্ক হওয়া উচিত। আবার কেউ বললেন, একটা তো বিজ্ঞাপন সেটা নিয়েও এত বাড়াবাড়ি। কারওর তো ক্ষতি হয়নি বিজ্ঞাপনটি দেখার পর। কিন্তু নিজের প্রিয় সংগীতকে নিয়ে ছেলেখেলা হতে দেখে শান্ত হয়ে বসে থাকতে পারেননি কৌশিকী।
প্রসঙ্গত শুধু কৌশিকী নন, বরং হানসাল মেহেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সম্পূর্ন ঘটনায়। ভারতের সংস্কৃতিকে আঘাত করার অর্থ, নিজেকেও আঘাত করা। কৌশিকীর পাল্লা ভারী একথা বলাই যায়।