কেয়া শেঠের কাছ থেকে শাড়ি কিনেই ঠকলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর মা। শেষে এমন কান্ড হল যে সমাজ মাধ্যমে রীতিমতো ঝগড়া লেগে গেল কেয়া শেঠের সঙ্গে। অনলাইনে কেয়ার শপ থেকে শাড়ি কিনেছিলেন শতরূপা, তারপর...
বর্তমান প্রজন্ম অনলাইনে শপিং করতেই ভালবাসে। কিন্তু শতরূপা নিজেও পিছিয়ে নেই। সারা রাজ্য যখন প্রতিবাদ করতে ব্যস্ত, কিন্তু সামনেই বাঙালির আসন্ন দুর্গোৎসব। তাই, অল্পস্বল্প কেনাকাটা করতেও দেখা যাচ্ছে বাঙালিকে। শতরূপা শুরু করেছেন কেনাকাটা। আর সেইজন্য কেয়া শেঠের শপ থেকে এক্সক্লুসিভ কালেকশন কিনেই ঠকে গেলেন শতরূপা।
প্রায় ৪৮৯৯ টাকা দিয়ে একটি শাড়ি কিনেছিলেন তিনি। ব্যোমকাই শাড়ি কিনলেন বটে, হবে শাড়িটি বাড়িতে আসতেই চোখ কপালে শতরূপার। যে শাড়ি এত টাকা দিয়ে কিনলেন, তাঁর দাম আসলে ১০০০ টাকাও হওয়া উচিত না। শাড়িটি ফেরত দেওয়ার কথাও বলেন শতরূপা। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনবার, কিন্তু উত্তর পাননি। এরপর, শতরূপা ফেসবুকের পাতায় লেখেন...
কী লিখছেন শতরূপা?
"বন্ধুরা, সাবধান। নানা কারণে মন ভালো নেই। শরীরটাও যেন বিদ্রোহ করছে। এর মধ্যে কেউ যখন বোকা বানিয়ে, ডাহা ঠকিয়ে যায়, তখন কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে পড়ে। এমনিতে আমি সারা বছরই যথেষ্ট অনলাইন কেনাকাটা করি। বিশেষতঃ আজকাল যেভাবে মেয়েরা শাড়ি জামা বা পোষাক গয়না ইত্যাদির অনলাইন ব্যবসা করছেন, আমি শুধু তারিফই করিনা, কিনিও। তাদের প্রতি আমি খুবই আন্তরিক।দু একবার যে ঠকিনি, তা নয়। খুব অল্প টাকার ক্ষতি হয়েছে, যা ধর্তব্যের নয়। এখন তাই যাদের চিনে গেছি, তাদের থেকেই কিনি। কিছু নামী দামী কোম্পানির জিনিষও কিনেছি যথেষ্ট। পছন্দ না হলে ফেরতও দিয়েছি।"
তিনি আরও বলেন, "ইন্ডিয়ান সিল্ক হাউস, বানারসী, মিন্ত্রা, আজিও, আমাজন ইত্যাদি, কারো ক্ষেত্রেই কোন অসুবিধে হয়নি। তারা তাদের সুনাম রেখেছেন এখন অবধি! তাদের ব্যবহারও ভদ্রলোকের মত। অসুবিধে হল “কেয়া শেঠ এক্সক্লুসিভ “ নামক বিক্রেতাদের সঙ্গে। সিল্ক বোমকাই বলে একটি নকল মাল চালিয়ে দিলেন তাঁরা, ডিসকাউন্টে প্রায় পাঁচহাজার টাকা দাম নিয়ে। এটার দাম হয়তো ১০০০/- টাকাও হবেনা। সুতরাং, কাস্টমার কেয়ারে তৎক্ষণাৎ জানালাম, এটা নকল, ফেরত দিতে চাই। তারা মেইলে ও ফোনে জানালো- ফেরৎ হয়না! বদলও হয়না!! পলিসি তাদের এ রকমই। লোক ঠকানোর কী নির্লজ্জ ধান্দা!
আমার পুরো টাকাটাই জলে! অবশ্য, আমারও দোষ আছে বৈকী! বহু বিজ্ঞাপিত ব্র্যান্ডকে একটুও না সন্দেহ করে জিনিস কেনা এবং এত বেশি ডিসকাউন্টের ব্যাপারটায় বিশ্বাস করা! নইলে, ঐ টাকায় নকল বোমকাই-ই তো মিলবে। কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে যে, সেটা কিন্তু বিক্রেতার আগেই জানিয়ে রাখার কথা।"
এরপরই সেখানে হস্তক্ষেপ করেন মেয়ে চিত্রাঙ্গদা। কিন্তু, এতসব শুনেও কেয়া শেঠ চুপ থাকেননি। তিনি লম্বা একটি ভিডিও বানিয়েছেন, যাতে ঘটনার বর্ণনা করেই কেয়া বলেন...
" ওঁর সঙ্গে আমার আলাপ ছিল। উনি বহুবছর আগে আমার কাছে একটি গল্প নিয়ে প্রযোজনার জন্য এসেছিলেন। উনার কাছে আমার ফোন নম্বর আছে। অনলাইনে শপিং করতে জানেন, আর বেসিক কিছু জানেন না? প্রোডাক্ট ডিটেইলস তো দেখে নেবেন? আপনাকে জানানো হয়েছিল যে ওটা আসল ব্যোমকাই না। আর যদি বলেন, অনলাইনে শাড়ি কিনে ফেরত দেওয়ার বিষয়, এরম অনেক হয়েছে যে শাড়ি বাড়িতে গিয়েছে, সেটা পড়ে, ছবি তুলে তাঁরা ভাল লাগেনি বলে ফেরত পাঠিয়েছে। তাই রিটার্ন পলিসিটা খুব ভেবে চিন্তে করা। কিন্তু আপনার সঙ্গে তো ১৩-১৪ তারিখ কথা হয়েছিল। ২৭ তারিখে পোস্ট করলেন যে? আপনাকে তো সবরকম কথা বলা হয়েছিল। এমনও বলা হয়েছিল, এসে পাল্টে নিয়ে যান! তাঁর এতদিন পর শরীর খারাপের দোহাই দিয়ে পোস্ট করলেন যে...."
এখানেই শেষ না। শতরূপা সান্যালকে তিনি সাবধান করে দিয়ে বললেন, "এই ভুলটা এই কোনোদিন করবেন না। আপনাকে মানায় না। একজন চেনা মানুষকে ফোন করে বলতে পারতেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে আরেকজন মহিলাকে অপদস্ত করলেন, শোভা পেল না।"