Dev Breaks Silence On Troll: ২০২৪-এর ক্রিসমাসে মুক্তি পেয়েছে খাদান। দেব, যীশু, ইধিকা, বরখা সহ মাল্টি স্টারকাস্ট ভিত্তিক এই ছবি মুক্তির পরই সুপারহিট। বক্স অফিসে এখন খাদান ম্যানিয়া। বর্তমানে বাংলা ছবির অনেকটাই ভোলবদল হয়েছে। বাণিজ্যিক ছবি যেন একপ্রকার বিলুপ্তই হয়ে যাচ্ছে। সেই জায়গায় কর্মাশিয়াল বাংলা ছবির প্রত্যাবর্তনে বিরাট ভূমিকা পালন করল দেবের খাদান।
বাণিজ্যিক ছবির হৃতগৌরব ফিরিয়ে বক্স অফিসে ছুটছে খাদানের বিজয়রথ। ক্রিসমাসে ভিন্নস্বাদের চারটি বাংলা ছবির মধ্যে জোর টক্কর। তিনটি ছবিকে টেক্কা দিয়ে এখনও পর্যন্ত সেরার সেরা খাদান। দেবও নিজেকে ভেঙেচুরে দর্শকের দরবারে বারবার মেলে ধরেছেন। কিন্তু, আজ থেকে পাঁচ-ছয় বছর আগে ইন্ডাস্ট্রিতে দেবের কিন্তু এই ক্রেজ ছিল না।
খাদানের সিঙ্গল স্ক্রিনের প্রচারে এখন তুমুল ব্যস্ত দেব। শহরের বিভিন্নপ্রান্ত ঘুরে খাদানের প্রচার করছেন। শুরু হয়েছে খাদানের সিঙ্গল স্ক্রিন বেঙ্গল ট্যুর। দক্ষিণ বারাসাত থেকে জয় নগরে দেবকে ঘিরে ভক্তদের উচ্ছ্বাস একেবারে চোখে পড়ার মতো। একদিকে বিনোদিনীর প্রচার তো অন্যদিকে খাদান, এর মাঝেই ট্রোল নিয়ে সরব দেব।
সংবাদমাধ্যনমের সামনে দেব অকপটে বলেন, আজ থেকে পাঁচ-ছয় বছর আগে তাঁকে তো কেউ পাত্তাই দিত না। লোকে তাঁকে তোতলা বলে কটাক্ষ করত। তিনি অভিনয় পারেন না এমনটাও শুনতে হয়েছে আজকের সুপারস্টার দেবকে। তবে দেব বলেন, কাজের মাধ্যমেই ট্রোলের জবাব দিয়েছেন। আগে এইসব নিয়ে ভাবলেও এখন আর ভাবেন না। বল্কও করেন না। শুধু এড়িয়ে যান।
কারণ একটাই, দেবের লক্ষ্য ২০২৭-এর মধ্যে কী ভাবে ইন্ডাস্ট্রি ৫০ কোটি ব্যবসা করবে। তাই নিজেদের মধ্যে কোনওরকম রেষারেষি না করারই আর্জি করেছেন সুপারস্টার। একইসঙ্গে বিনোদিনী প্রসঙ্গে দেবের মত, একজন প্রযোজক হিসেবে সব রকমের ছবি তাঁর করা উচিত।
বিনোদিনীর জন্য তিনি খুবই আশাবাদী। রুক্মিণীর প্রশংসায় একেবারে পঞ্চমুখ। তবে বিনোদিনীর জন্য নিজেকে একটপুও ক্রেডিট দিতে চান না দেব। তাঁর মতে পুরোটাই প্রাপ্য পরিচালক আর কাস্ট অ্যান্ড ক্রু-র। একইসঙ্গে স্টার থিয়েটারের নামবদলের জন্যও রুক্মিণীর কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন সুপারস্টার দেব।