গ্যাংষ্টারে ভরে গেছে কলকাতা। আর এবার কলকাতাকে সেখান থেকে নিরাপত্তা দিতে আসছেন এমন বুদ্ধিমান কিছু পুলিশেরা, যাদের বুদ্ধির তারিফ না করলেই না। এবং এরা পুলিশের ভূমিকায় বহু আগে থেকেই, নিজেদের নাম উজ্জ্বল করেছেন। বারবার শহর কলকাতা কিংবা গ্রামবাংলায় যখন দরকার পড়েছে, পুলিশের উর্দি পরে তাদেরকে দেখা গিয়েছে, সকলের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে।
কিন্তু এবার তাদের মোকাবিলা করতে হবে, ছোটখাটো ডাকাত কিংবা ছিঁচকে চোরের সঙ্গে না, বরং শহর কলকাতার সেই সব গ্যাংস্টারদের সঙ্গে, যাদের নাম শুনলে আত্মা কেঁপে ওঠে। তারা কি পারবে? এমনি এক গল্প নিয়ে আসছেন পরিচালক নিরাজ পান্ডে। বহুদিন ধরে জানা যাচ্ছিল তিনি খাকি দা বেঙ্গল চ্যাপ্টারের শুটিং করছেন। শহর কলকাতার এদিক ওদিক থেকে মুম্বাইয়ের নানা জায়গায়, বাংলার সব বড় তারকাদের নিয়ে শুটিং করেছেন পরিচালক। আর আজ, বিহার চ্যাপ্টারের পর বেঙ্গল চ্যাপ্টারের টিজার প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল।
এই সিরিজে, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে জিৎ, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় থেকে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় চিত্রাঙ্গদা সিংকে দেখা যেতে চলেছে। জিৎ এবং পরমব্রত রয়েছেন ডাকসাইটে পুলিশের ভূমিকায়। যতদূর সম্ভব প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন কোন রাজনীতিবিদ চরিত্রে। এই গল্প যে বেশি ইউনিক হতে চলেছে, তা পরিষ্কার। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় কে দেখে, বোঝা সম্ভব হচ্ছে তিনি কোন রকম আন্ডারওয়ার্ল্ড এর সঙ্গে যুক্ত। বাংলার আনাচে কানাচে হয়ে থাকা অন্যায় এবং অপরাধকে, সমূলে বিনাশ করতে তাঁরা পারেন কিনা সেটাই এখন দেখার!
জিৎ এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, এর আগে একসঙ্গে কোনদিন কাজ করেনি। তাহলে তাদেরকে একসঙ্গে দেখে, ভক্ত কুল আবেগে আপ্লুত। কেউ কেউ বলছেন, এর থেকে বড় মাস সিরিজ আর একটা হবে কিনা সন্দেহ আছে। আবার কেউ বললেন, বাংলার দুই সুপারস্টার একসঙ্গে পর্দায় আসছেন দেখেই দারুন মজা লাগছে। তারকাদের অনেকেই আনন্দে আত্মহারা। তারা যেন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে নি সিরিজের জন্য।
উল্লেখ্য আজ, একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে জিৎ এবং প্রসেনজিৎ হাজির হয়েছিলেন। সেখানেই জিৎ জানিয়েছেন, সিজন ওয়ান অর্থাৎ বিহার চ্যাপ্টারের থেকেও, সিজন টু নাকি ভালো হয়েছে বলেই দাবি করেছেন নির্মাতারা। যদিও আদৌ এটা হয়েছে কিনা সেটা সময় বলবে। তবে টিজারে এটুকু বোঝা যাচ্ছে বাংলার এক, লুকিয়ে থাকা কাহিনী দেখবেন দর্শকরা।