মঙ্গলবারই জয়সালমীরের সূর্যগড় প্যালেসে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন সিদ্ধার্থ-কিয়ারা। যেন রূপকথার বিয়ে। বিয়ের মণ্ডপ, সাজসজ্জা, পোশাক থেকে খানাপিনা সবেতেই আভিজাত্যের ছোঁয়া। এলাহি আয়োজন একেবারে। তবে এতসবের মধ্যেই নজক কাড়ল নায়িকা কনের সাজপোশাক। যাতে কিনা স্বামী সিদ্ধার্থ মালহোত্রার জীবনের বিশেষ স্মৃতি খোঁদাই করা রয়েছে।
বিয়ের দিন মনীশ মালহোত্রার ডিজাইন করা লেহেঙ্গা ও হিরে-পান্নার গয়নায় সেজেছিলেন কিয়ারা আডবানি। বলা ভাল, মনীশ-ই ছিলেন কনে সাজানোর দায়িত্বে। পা থেকে মাথা পর্যন্ত হিরের গয়নায় সেজেছিলেন কিয়ারা। আর পাঞ্জাবি করেন সাজ চূড়া, কলিরে ছাড়া অসম্পূর্ণ। বাঙালি এঁয়ো স্ত্রীদের যেমন হাতে শাঁখা-পলা পরার রীতি রয়েছে, পাঞ্জাবিদের মধ্যে তেমনি চূড়া আর কলিরে। কিয়ারার হাতের গোলাপি এই চূড়া, কলিরেই নজর কেড়েছে হাজার চাকচিক্যের মাঝে। কেন? তাঁর একটি বিশেষ কারণ রয়েছে।
সিড-কিয়ারার যা কিছু পছন্দের, তার সবটাই এই কলিরেতে গাঁথা স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে। নায়িকার জন্য বিশেষ এই গোলাপি রঙের কলিরে ডিজাইন করা মৃণালিনী চন্দ্রের ফ্যাশন ব্র্যান্ডের। সোনালি-রীপোলি চাঁদ-তাঁরা খচিত। তাতে সিড-কিয়ারার প্রিয় জায়গা আইফেল টাওয়ার, দুজনের নামের আদ্যাক্ষর S ও K লেখা, প্রজাপতি এবং রয়েছে সিদ্ধার্থের প্রয়াত পোষ্য অস্কারের মুখ।
গত বছরই মারা গিয়েছে সিদ্ধার্থের এই সঙ্গী। অভিনেতার হৃদয়ের টুকরো ছিল এই অস্কার। চারপেয়ে এই সন্তান চলে যাওয়ার পর সিদ্ধার্থ আবেগপ্রবণ হয়ে অনেক কথা লিখেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কীভাবে অস্কার তাকে জীবনের অনেক কিছু শিখিয়ে গিয়েছে, সেকথাও তুলে ধরেছিলেন। আর সেই সঙ্গী-ই কিনা সিড-কিয়ারার বিয়ের সাক্ষী থাকার আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিল। তবে কিয়ারার উদ্যোগে সেই অস্কার বিশেষভাবে ফিরে এল বিয়েতে। কনের হাতের কলিরেতে দেখা গেল অস্কারের মুখ খোদাই করা। কী মিষ্টি!
<আরও পড়ুন: সিদ্ধার্থ-কিয়ারার বিয়ের পোশাক-কার্ডে ‘রোমান’ স্পর্শ, আজই গৃহপ্রবেশ, মুম্বইতে রিসেপশন কবে?>
ডিজাইনার মৃণালিনী জানান, "কলিরে আদতে প্রেম কাহিনীর প্রতীক। কিয়ারার কলিরে ছিল একেবারে জাদুতে ভরা। চাঁদ, সূর্য, দম্পতির নামের আদ্যাক্ষর সবকিছুতে ঠাসা। তবে এই কলিরের সবথেকে মিষ্টি ব্যাপার ছিল সিদ্ধার্থের প্রয়াত পোষ্য অস্কারের মুখ।" কনের এমন উদ্যোগে চোখ ভিজেছে সকলের।
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধেবেলাই দিল্লির বাড়িতে মহাধুমধাম করে গৃহপ্রবেশ হয়েছে বর-কনের। সিদ্ধার্থের বাড়ির সামনে ঢোল-তাসা বাজিয়ে হুল্লোড় করলেন পরিবার, বন্ধুবান্ধবরা। নাচতে দেখা গেল সিড-কিয়ারাকেও।