/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/05/rukmini-feature.jpg)
রুক্মিণী মৈত্র। এক্সপ্রস ফোটো- অভিষেক ঘোষ।
টলিপাড়ায় নয় নয় করে চারটি ছবি করে ফেলেছেন তিনি। এখন বলাই যায়, পাকাপাকিভাবে অভিনয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ফেলেছেন তিনি। প্রতিষ্ঠিত মডেল হলেও শুটিংয়ের আগে মেকআপটাই করেন না তিনি। বিশ্বাস করেন, সমাজের পাশে দাঁড়াতে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া জরুরি নয়। তিনি রুক্মিণী মৈত্র। 'কিডন্যাপ' হওয়ার আগে আড্ডার মেজাজে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-র সঙ্গে।
সাংবাদিক হয়ে কেমন লাগল?
(হাসি) অভিজ্ঞতা একটাই, এত যে সাক্ষাৎকার নেন, তারকাদের স্টক করেন, এবার বুঝলাম কেন আর কীভাবে করা হয় পুরো ব্যাপারটা। এই যে আপনারা লেখেন 'সূত্র', সেটা কী বুঝতে পারলাম। পুরো প্রক্রিয়াটা জানলাম। বলতে পারেন, অনেক নিটি-গ্রিটি শিখলাম।
তার মানে এরপর আমাদের বোকা বানাতে সুবিধে হবে...
একদম (হাসি)! এখন পুরো বুঝতে পেরে গিয়েছি কী বলব, কীভাবে বলব, পাল্টা প্রশ্ন কখন করব, সবটা জেনে গিয়েছি। সত্যি বলতে, ছোটবেলায় আমি সাংবাদিক হতে চাইতাম। পড়াশোনা নিয়ে যারা থাকে মনে হয় এদিকে ঝোঁক থাকে। কিন্তু ততদিনে ইংরাজিতে স্নাতক হয়ে গিয়েছি। তাই আর সাংবাদিক হয়ে ওঠা হল না।
Dev! @idevadhikari
You’re so busy and have no time..????
So I guess it’s time I say it..
AMI TOMAKE BHALOBASHI ❤️
— RUKMINI MAITRA (@RukminiMaitra) April 26, 2019
বুঝলাম। কিন্তু টুইটারে এই যে মজাটা করলেন...মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি?
ফের চেনা হাসি! ডিজিটাল মার্কেটিং তাই না। আসলে ''আমি তোমাকে ভালবাসি'' সবসময়ই শুনি। আর দেব ইদানীং এত ব্যস্ত যে আলোচনা করার বা কীভাবে প্রোমোট করা যায় তা নিয়ে ভাবার উপায় নেই। মনে হচ্ছে ওকেও কিডন্যাপ করতে হবে।
তাই নিজেই লিখে ফেললেন ''দেব, আমি তোমাকে ভালবাসি''
এটা ভাল ছিল কিনা বলুন? আমি তো প্রচুর হেডলাইন দেখলাম! মনে হচ্ছে, এটা কী হল! আমার পুরো টিম দেখেছে কী ঘটছে...এমনকী মাকে অফিসে সহকর্মীরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। জানেন, মায়ের কাছে তারিখ জানতে চেয়েছে। আর মাও স্মার্টলি বলেছে, ৫ জুন। বুঝুন! দেবকে তো বলেই দিয়েছিলাম, ''আমি একটা টুইট করছি, এরপর তোমার প্রোফাইল থেকে আর কোনও টুইট করা যাবে না তিন দিন''।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/05/rukmini-maa.jpg)
রাজা চন্দর সঙ্গে প্রথম কাজ। অভিজ্ঞতা?
রাজাদার সঙ্গে কাজ করে অনেক বেশি শিখেছি। শেষ তিনটে ছবির থেকেও বেশি। আমি টেকনিক শিখেছি অনেক। ক্লোজ শট, অভিনেতার পাওয়ার হাউস। আর শিখেছি, কীভাবে ক্যামেরার সঙ্গে খেলতে হয়। আমি তো বলেছি, তুমি কলকাতার রোহিত শেট্টি।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/05/dev-rukmini.jpg)
আপনি কি শুধু দেবের সঙ্গেই ছবি করবেন?
সবাই বলছে শুধু দেব-রুক্মিণী, যদিও এটা অন্য প্রযোজকের ছবি। কিন্তু যদি কেউ লক্ষ্য করে দেখবেন আমরা কখনও একই ধরনের বিষয়ে কাজ করিনি। চ্যাম্পের অফারটা দেব দিয়েছিল, তা বাদে বাকি সব পরিচালকের অফার করা। আমি আর দেব কনশাসলি ভেবেছি শুধু রোমান্স করে যাব না। সেই কারণেই প্রতিটা ছবিতে আলাদা আলাদা চরিত্রে এসেছি।
রুক্মিণী কি ভীষণ রোমান্টিক মানুষ?
আই অ্যাম! শুনলে নাক সিঁটকোতে পারে অনেকে কিন্তু ভীষণ চিজি রোমান্স পছন্দ করি। বীচের উপর মুন লিট রোমান্স...বাড়ির নীচে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকবে। এরকমই সব ধরণের ফ্যান্টাসি থাকে। আমি পুরোপুরি যশ রাজ বাই হার্ট (হাসি)।
দেবের সঙ্গে প্রচারে দেখা গেল না...
শুধু সিনেমার প্রচারে বিশ্বাস করি আমি। আর পার্টি কেবল বার্থ ডে পার্টি।