সোমবার বিকেল ৪টে। জমজমাট নজরুল মঞ্চ। তারকা-খচিত ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। উপস্থিত খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি মঞ্চে সেই একই ফ্রেমে দেখা গেল সন্দীপ রায়, গৌতম ঘোষ, রঞ্জিৎ মল্লিক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, নুসরত জাহান, ইন্দ্রাণী হালদার, গৌতম ঘোষ, সায়নী ঘোষ, বাবুল সুপ্রিয়-সহ আরও অনেককে। বিশেষ অতিথির আসনে সস্ত্রীক শত্রুঘ্ন সিনহা। সদ্য আসানসোল থেকে লোকসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছেন অভিনেতা। আর এদিন কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে হাজির হয়ে পাটনার বিহারীবাবু ঝরঝরে বাংলায় কথা বলে একেবারে তাক লাগিয়ে দিলেন উপস্থিত দর্শককে। তাঁর মুখ থেকে বাংলা শুনে হাততালি দিয়ে খোদ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Advertisment
শত্রুঘ্ন সিনহাকে পাশে নিয়েই প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করলেন মমতা। অনুষ্ঠানের মঞ্চে সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক- বিশ্ববরেণ্য বাংলার পরিচালক ত্রয়ীর স্মৃতিচারণা করলেন শত্রুঘ্ন। তবে তাঁর থেকেও নজর কাড়ল তাঁর বাংলা বলার ধরণ। উপনির্বাচনের সময় ভোটপ্রচারের ময়দানেও শত্রুঘ্নকে বাংলা বলতে শোনা গিয়েছে। তবে এদিন পাঞ্জাবী পরিহিত 'বিহারীবাবু' যেন আদতেও 'বাঙালিবাবু' হয়ে উঠলেন। তাঁর আক্ষেপ, "সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় ছবি করার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল।"
কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মঞ্চেই গৌতম ঘোষের ‘অন্তর্জলী যাত্রা’র কথা স্মরণ করলেন শত্রুঘ্ন। যে ছবিতে অভিনেতাকে দেখা গিয়েছিল ডোমের চরিত্রে। বাংলা চলচ্চিত্র থেকে অনেককিছু শিখেছি, মন্তব্য ‘বিহারীবাবু’র। পাশাপাশি এবছর যেহেতু জন্মশতবর্ষে বিশেষ সম্মান জানানো হচ্ছে সত্যজিৎ রায়কে। সেই প্রসঙ্গ টেনে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মঞ্চে শত্রুঘ্ন ঝরে ঝরে বাংলাতেই বললেন, মাণিকদার ভক্ত ছিলাম, সারাজীবন থাকব। প্রসঙ্গত, এর আগেও একবার কলকাতায় এসে তিনি জানিয়েছিলেন যে, "অনেকেই হয়তো জানেন না যে, মাণিকদার একটা ছবিতে আমার অভিনয় করার কথা ছিল। সেই ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়েরও অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু হয়ে সেটা আর হয়ে ওঠেনি।"
ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেনের কথাও স্মরণ করলেন অভিনেতা তথা আসানসোলের সাংসদ। বললেন, "এঁরাই ফিল্ম স্কুলে পরিয়েছেন। প্রসেনজিৎকে তো ছোট থেকে দেখেছি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
আমাদের নিউজলেটার সদস্যতা!
একচেটিয়া অফার এবং সর্বশেষ খবর পেতে প্রথম হন