/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/02/Dzlre6eXIVjw3vOdkVHX.jpg)
Lapaata Ladies: কোন ছবি থেকে হুবুহু এটি তুকে দিলেন তিনি? Photograph: (Instagram)
Lapaata Ladies Plagiarism: এত প্রশংসা কুড়োনোর পর শেষে কপি পেস্টের তকমা লাগল? এই ছবি নিয়ে সমাজ মাধ্যমে এত আলোচনা। যেখানে, বলিউড সবসময় পুরুষকেন্দ্রিক ছবি নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত থাকে, সেখানে বহুদিন পর লাপাতা লেডিস নিয়ে আলোচনা ছিল তুঙ্গে। কিরন রাও পরিচালিত এই ছবি নানা পুরস্কার যেমন পেয়েছে তেমন অস্কারের যুদ্ধে মনোনীত পর্যন্ত হয়েছিল।
এই ছবি গ্রাম বাংলার এমন এক ছবি তুলে ধরেছিল, যেখানে দেখা গিয়েছিল দীপক তাঁর স্ত্রীর খোঁজ করছেন, যে ঘোমটার আড়ালে থাকার ফলে তাঁদের অদল বদল হয়ে যায়। কিন্তু, এই ছবি যেভাবে মানুষের মনে প্রভাব ফেলেছিল, তারপর বলতেই হয়, যে সিনেমা রিলিজ না করলেও OTT এর দুনিয়ায় দারুণ কামাল করেছিল এই সিনেমা। যদিও অভিযোগ এখন এমনই এই ছবি নাকি একেবারেই টুকে বানিয়েছেন আমির পত্নী। প্লেগারিসিমের অভিযোগ এসেছে এই ছবির বিরুদ্ধে।
জানা যাচ্ছে, আরবী ভাষায় বানানো একটি ছবি আছে, যদিও সেটি শর্ট ফিল্ম। তাঁর নাম দ্যা বুরকা সিটি। এই ছবিতেও দেখা গিয়েছিল, এক যুবক যে নতুন বিয়ে করেছে, তাঁর স্ত্রী বুরকার আড়ালে অদল বদল হয়ে যায়, এবং গোটা শহরে সে তাঁকে খুঁজতে শুরু করে। সেই ছবির পরিচালক ছিলেন, ফ্যাব্রিক ব্র্যাক। বেশ কয়েকটি আইকনিক দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে সমাজ মাধ্যমে। সেগুলো দেখেই দর্শক আরও বেশি করে দাগিয়ে দিয়েছেন যে লাপাতা লেডিস কপি সিনেমা।
Kiran Rao's Lapata Ladies, India's official entry to the Oscars and projected as an original work, actually seems heavily inspired by a 2019 short film titled Burqa City.
— THE SKIN DOCTOR (@theskindoctor13) March 31, 2025
Set in Middle East, the 19 min film follows a newlywed man whose wife gets exchanged due to identical… pic.twitter.com/b7GcHN2MmI
সেই ছবিতেও দেখা গিয়েছিল, পুলিশ অফিসারকে বুরকা পরা স্ত্রীর ছবি দেখালে তিনি হেসে ওঠেন এবং এই ছবিতেও তাই। রবি কিষণের পান মুখে নিয়ে ওয়াহ্ বলার স্টাইল যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই ছবিতে। এদিকে, এই কিছু ক্লিপিং ভাইরাল হতেই ২০১৯ সালের ছবির সঙ্গে বারবার তুলনা উঠছে লাপাতা লেডিসের। কেউ বলছেন, এটাই তাহলে আসল ছবি। এটাকে কপি বলে নাকি অনুপ্রেরণা? আবার কেউ বললেন, বলিউডের আসল বলে সত্যিই কিছু নেই। আবার কারওর কথায়, অস্কারের বুকে একটা ছবি পাঠানোর আগে বেশ কিছু ভাবনা চিন্তা করা উচিত।
কেউ কেউ তো মুসলিম কমিউনিটি থেকে হিন্দুতে একটা গল্পকে ট্রান্সফার করার বিষয়েও আওয়াজ তুলেছেন। ভারতীয় প্রেক্ষাপটে ছবি বানাতে গিয়ে কিরণ রাও এহেন কান্ড করে বসবেন, যেন কেউ ভাবেন নি।