/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/11/rafi-kishore-2025-09-11-19-32-17.jpg)
সেদিন না হয়েছিল...
১৯৬৯ সালের দিকে হঠাৎ করেই কিশোর কুমারের জনপ্রিয়তা উর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে, যা তাঁকে কিংবদন্তি গায়ক মহম্মদ রফির সমকক্ষ করে তোলে। যদিও দু’জনেই একই সময়ে সংগীত জগতে সক্রিয় ছিলেন। রফিকে তখনকার সময়ে বেশি জনপ্রিয় বলে ধরা হত। কিন্তু রাজেশ খান্নার ‘আরাধনা’ ছবির মুক্তির পর সবটাই বদলে যায়। “মেরে সপ্নো কি রানি” এবং “কোরা কাগজ থা ইয়ে মন মেরা”-র মতো গান কিশোরকে আক্ষরিক অর্থেই বলিউডের এক নম্বর প্লেব্যাক গায়কের আসনে বসিয়ে দেয়।
আর এই উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় প্রতিদ্বন্দ্বিতার নানা গল্প। সে সময়কার ম্যাগাজিনগুলি দুই কিংবদন্তিকে বারবার একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিত। কখনও ঈর্ষা, কখনও প্রতিযোগিতার গল্প ছড়িয়ে পড়ত।
তবে এসব জল্পনা একেবারেই ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন মহম্মদ রফির ছেলে শহীদ রফি। তাঁর কথায়, “তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত সুন্দর। কিশোর কুমার বাবাকে গভীরভাবে সম্মান করতেন। তাঁদের মধ্যে কোনও ভাঙন বা ঈর্ষার গল্প একেবারেই সত্যি নয়।”
তিনি আরও জানান, রফি কিশোরের সঙ্গে কাজ করতে দারুণ উপভোগ করতেন। "তিনি কিশোর দার সঙ্গে দ্বৈত গান গাওয়ার জন্য সবসময় আগ্রহী থাকতেন। বলতেন- ‘মজা আসবে!’ কারণ কিশোর কুমার ছিলেন অত্যন্ত প্রাণবন্ত, রসিক মানুষ। তিনি সবাইকে হাসাতেন। বাবা সবসময় বলতেন, কিশোরের সঙ্গে গান করা মানেই আনন্দ। ও আমাকে হাসতে বাধ্য করবেই।”
এই বন্ধুত্ব এতটাই গভীর ছিল যে ১৯৮০ সালে রফির মৃত্যু কিশোর কুমারকে ভেঙে দেয়। শহীদ রফি স্মৃতিচারণ করে বলেন, "আপনি বিশ্বাস করবেন না, বাবা মারা যাওয়ার সময় কিশোর দা শিশুর মতো কাঁদছিলেন। তিনি আমার পাশে বসেছিলেন, বাবার পা জড়িয়ে ধরে কেঁদে বলছিলেন- ‘আমার বন্ধু আমাকে ছেড়ে চলে গেল।’ যদি সত্যিই তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকত, তবে তিনি কি কখনও এমন আচরণ করতেন? নিশ্চয়ই না। সবই ছিল গুজব, লোকেরা মতামতের জন্য মিথ্যে বলত, তারা প্রকৃত সত্য জানত না।"