শিল্পী হয়েও শিল্পীর অপমান? কেকের মৃত্যুর পর শিল্পী রূপঙ্কর বাগচীকে নিয়ে পড়ে যায় তুমুল হইচই, শুধু তাই নয়। কেকের মৃত্যুর জন্য পরোক্ষভাবে দায়ী করা হয় রূপঙ্করকে। কলকাতায় কেকের অনুষ্ঠান ঘিরে চূড়ান্ত উন্মাদনা, আর সেটাই সেদিন সহ্য করতে পারেননি রূপঙ্কর।
জাতীয় স্তরের শিল্পী কেকে। তাঁর সৃষ্টির মাধ্যমে বেচেঁ থাকবেন আজীবন। কিন্তু রূপঙ্করকে সেসময় যেভাবে দর্শকদের রোষানলে পড়তে হয়, যেন আজও ভাবলে গা শিউরে ওঠে রূপঙ্কর এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালীর। মানুষের ক্ষোভ, চারপাশে অন্ধকার... রাত যেন পোহাচ্ছিল না সেসময়। কিন্তু সেসময় চৈতালি পাশে ছিলেন ছায়ার মত। কিন্তু, মেয়েকে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন গুরুতর। সমস্ত ক্ষোভ, রোষের মুখে যেন তাঁর মেয়ে না পড়ে!
সম্প্রতি, দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে, হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই অভিশপ্ত সেসব-দিনের কথা শেয়ার করেছেন তিনি। চৈতালি বলেন, "সেসব দিনের কথা মনে এলেই আমার ভয় লাগে। যেসময় গিয়েছে সেটা আমি আর মনে করতে চাই না। মেয়েকে নিয়ে খুব ভয়ে ছিলাম। ও কীভাবে যে প্রতিক্রিয়া দেবে সেটা বুঝতে পারছিলাম না। এমন কিছু ওকে শুনতে হয়েছিল, আমরা যেন নিজেরাও তাজ্জব! এমন অবস্থা যেন কারওর না হয়। কী যে মুশকিলের মধ্যে দিয়ে দিন কাটে!"
আরও পড়ুন - স্বামী সৃজিতের ডেঙ্গু, তারমধ্যেই সুখবর জানালেন ঢালিউড অভিনেত্রী মিথিলা!
পরবর্তীতে, যদিও রূপঙ্কর চৈতালীর সঙ্গেই গলা মেলান। স্ত্রীর সঙ্গে সহমত হয়ে বলেন, "কোনও বাবা মা বোধহয় চায় না যে তাঁদের মেয়ের যেন এহেন অবস্থা হয়। আমি সত্যিই গর্বিত যে আমার স্ত্রী এবং মেয়ে দুজনে একসঙ্গে আমার পাশে ছিলেন। যেকারনে, আমার আর কাউকে লাগে না।"
প্রসঙ্গত, কেকের শেষ কনসার্টের আগেই রূপঙ্কর বলেছিলেন হু ইজ কে ম্যান? অনেক ভাল শিল্পীরা আছে বাংলার বুকে। ঠিক তাঁর দুদিনের মধ্যেই কেকের কলকাতায় মৃত্যু হয়। যার জেরেI রোষানলে পড়েন তিনি।