নিস্তব্ধ হাজারো প্রেমিকের মন। ছোটবেলার সমস্ত মুহূর্ত যেন নিমেষে হারিয়ে গেছে। শহর কলকাতায় শেষবারের মত অনুষ্ঠান, তারপরেই ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক। শহরে এলেন কিন্তু ফিরে যাওয়া হল না নিজের গন্তব্যে। সকলের একটাই বক্তব্য মুহূর্তের মধ্যে যেন সবকিছু থমকে গেল। রাত সাড়ে দশটার পরেই মৃত্যু হয় সঙ্গীত শিল্পী কেকের। আর তাঁর সঙ্গেই এখন সকলের রোষানলে বাংলার অন্যতম সঙ্গীত শিল্পী রূপঙ্কর বাগচি।
একদিন আগেই ফেসবুকে কেকে -র সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন রূপঙ্কর। তাঁর দাবি ছিল, "হু ইস কেকে? আপনারা আমাদের নিয়ে তো এত মাতামাতি করেন না! আমরা সকলেই ওঁর থেকে অনেক ভাল গাই"। আর তাঁর এই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা না পেরতেই অকালে চলে গেলেন মানুষটা। এখন কেকে অনুরাগী থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার সকলেই তাঁর ওপর বেজায় ক্ষিপ্ত। কোন মুখে রূপঙ্কর বললেন এই কথা! উনার জানা উচিত কেকে আসলেই কে? উনার সঙ্গে নিজের তুলনা করতে গিয়েই মানুষটাকে অভিশাপ পর্যন্ত দিলেন? তাঁর অনুরাগীরা বলছেন, "নিজেকে প্রমাণ করতে গিয়েই লোকটা শেষ নিঃশ্বাস অবধি গান গেয়ে গেলেন। নিজেদের ক্ষোভ উগরাতে বাকি থাকছেন না কেউই"।
আরও পড়ুন < এমন ‘দরাজ’ কন্ঠ আর শোনা হবে না, ‘কান্নায়’ ভেঙে পড়ল টুইটার! >
তাদের বেশিরভাগের বক্তব্য, কেকে- এর সম্পর্কে জানতে হলে গুগল করে নিতে পারতেন রূপঙ্কর, এহেন নিজের মতামত না দিলেই চলত। আবার কেউ বলছেন নিজে কাজ পাচ্ছেন না বলেই এই ধরনের মন্তব্য করেছেন রূপঙ্কর, উনাকে গোটা ভারতে কেউ চেনে না। নব্বই দশকের আবেগের উপর আঘাত হেনেছেন বাংলার শিল্পী - ঠিক এমনটাই দাবি ভক্তদের।
আরও পড়ুন < ‘হম রহে ইয়া না রহে কাল…’, KK-কে চোখের জলে ‘আলবিদা’ মুম্বইয়ের >
এদিকে নিজেদের প্রিয় সঙ্গীত শিল্পীকে হারিয়েও রূপঙ্করকে আক্রমণ করতে নারাজ অনেকেই। তাদের একাংশের বক্তব্য, আরেকটা মৃত্যুর কারণ হওয়ার আর প্রয়োজন নেই। রূপঙ্কর এবার কিছু করে বসবেন। সঙ্গীতশিল্পী বলছেন, আমি শুনে হতবাক, এটা উনার মৃত্যুর বয়স নয়। আমি কেকের বিরুদ্ধে কিছু বলি নি, বাংলা গান, বাংলা সাহিত্যকে নিয়ে বলেছি। লোকজন আমাকে ভুল বুঝলে আমি দুঃখই পাব।