বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে সাক্ষাৎ, পুরভোটের আগে তৃণমূলপ্রার্থীর হয়ে প্রচার। শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক নির্বাচনী প্রচারে যাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, "বিজেপির সবথেকে বড় বিকল্প তৃণমূল। বিজেপিকে যে প্রতিরোধ করা সম্ভব, তা গোটা দেশকে দেখিয়ে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়", সেই পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়-ই (Parambrata Chatterjee) এবার পুরোভোটে (KMC Election 2021) তৃণমূলের ব্যাপক সাফল্যের পর নেতা-কর্মীদের সংযত থাকার পরামর্শ দিলেন।
এযাবৎকাল মনে-প্রাণে আদ্যন্ত বামপন্থী অভিনেতা বলে পরিচিত হলেও, গত বিধানসভা নির্বাচনের পর শাসকদলের একাধিক অনুষ্ঠানে পরমব্রতকে দেখা গিয়েছে। সেই অভিনেতাই পুরভোটে জেতার পর তৃণমূলকে সংযত থাকার বার্তা দিয়েছেন।
পরমব্রতর মন্তব্য, "এহেন বড়সড় সাফল্যের পর বিরোধী শিবিরের পার্টি অফিস ভাঙচুর থামাতে হবে। এক্ষুণি! বর্তমানে বাংলার যা পরিস্থিতি, সেকথা মাথায় রেখেই শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে আমি নেতাদের আর্জি জানাচ্ছি, তাঁরা যেন এহেন কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখেন। এটা জনগণের রায়কে অপমান করা-সম।" এরপরই আরেকটি টুইটে অভিনেতা লেখেন, "শুরুটা কারা করেছিল কিংবা আগে কে কী করেছে? সেগুলো কোনও অজুহাত হতে পারে না। এটা তখনও ভয়ঙ্করভাবে ভুল ছিল, এখনও তাই। দয়া করে সভ্য নাগরিক হিসেবে এই জয়ের উদযাপনে মাতুন। উল্লাসেও মর্যাদা বজায় রাখুন।"
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের (TMC) পুরভোটের মার্কশিট ঝকঝকে। ১৪৪টির মধ্যে ১৩৪টি আসনেই জয়লাভ করেছে রাজ্যের শাসকদল। আর তারপরই শহরের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে বিক্ষিপ্তভাবে বিরোধীদলের পার্টি অফিস ভাঙচুরের খবর প্রকাশ্যে আসতে থাকে। তাঁদের অভিযোগের তীর মূলত তৃণমূলের দিকেই। এমনকী, বিরোধী শিবিরের কর্মীদের ওপর আক্রমণের খবরও শোনা যায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে। এরপরই মুখ খোলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
এপ্রসঙ্গে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেউচা পাচামিতে প্রস্তাবিত কয়লা খনি গঠনের জন্য যে বিশেষ কমিটি গড়ে তোলা হয়েছে, মমতা সরকারের তরফে তার চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে পরমব্রতকে। অভিনেতাও নিজের দায়িত্ব পালনের জন্য দিন কয়েক আগে সেই এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলে এসেছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন