কে জাগরী থেকে কোজাগরী, সারারাত জেগে থাকার প্রথা থেকেই এসেছে এই শব্দ। আর এটাই পরিচালক সায়ন বাসু চৌধুরীর নতুন ছবির নাম। মুখ্য ভূমিকায় গৌরব চট্টোপাধ্যায় ও দেবলীনা কুমার।
বিরল চর্মরোগের জন্য দিনের আলোয় বাইরে বেরোতে পারে না সোহিনী। এদিকে তার বোন রূপসার এসবের বালাই নেই, সুস্থ মানুষের মতোই তার চলাফেরা। আর দিদি-অন্ত প্রাণ। কিন্তু সোহিনী মনে মনে হিংসা করে বোনকে। কেন সে রূপসার মতো স্বাভাবিক নয়। ইতিমধ্যেই সোহিনীর জীবনে প্রেম আসে, নীলাঞ্জন। রূপসাই সোহিনীকে সাহায্য করে। তবে দুর্ভাগ্যবশত নীলাঞ্জনের সঙ্গে প্রেমট ভেঙে যায়, আর সোহিনী তখন দাবী করে রূপসাকে নিজের মতো বাড়িতে আটক থাকতে। ঘটনাক্রমে রূপসা ও এক সাইকোলজিস্টের চেষ্টায় কীভাবে সেরে ওঠে সোহিনী আর কী করেই বা রূপসার সঙ্গে সম্পর্ক জোড়া লাগে সেটাই ছবির মূল উপপাদ্য।
ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দেবলীনা কুমার বলেন, চরিত্রটা নেগেটিভ ঠিক নয়, তবে সারাজীবনে তিন থেকে চারবার বাড়ির বাইরে বেরিয়েছে একটা মানুষের হতাশ হওয়াটা স্বাভাবিক। সেই দিক থেকেই সোহিনী আমার কাছে চ্যালেঞ্জিং একটা রোল।
তিনি আরও জানিয়েছেন, চিত্রনাট্যটাও ভীষণ ভাল লেগেছিল তাই রাজি হয়ে যাই কাজটা করতে। গৌরবের সঙ্গে প্রথম ছবিতে কাজ, কতটা উত্তেজিত জিজ্ঞেস করায় দেবলীনার উত্তর, সোশাল মিডিয়ায় তো আমাদের ফলোয়ার বেশি সবাই বলে। এবার দেখা যাক অফস্ক্রিন রসায়ন অনস্ক্রিনে কাজ করে কিনা!
কোজাগরী ছবির লুক টেস্টে দেবলীনা কুমার।
তবে নীলাঞ্জন অর্থাৎ গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের অকপট সহাস্য উত্তর, শুটিংয়ে দেখা হয়ে যাবে বাইরে আমায় আলাদা করে সময় দিতে হবে না। তবে দেবলীনাকে কেন্দ্র করেই ছবিটা, তাই ছবির অংশ হতে পেরে গর্ব বোধ করছি।
ছবির চরিত্র নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সোহিনীর চরিত্রটার ওপর দাঁড়িয়ে আছে নীলাঞ্জনের রোলটা। ছবিতে তার চোখ দিয়েই পৃথিবী দেখে সোহিনী। আর পরিচালক, শুনেছি ভাল কাজ করছে আর স্ক্রিপ্টটা পড়ে আমার বেশ ভাল লেগেছে। কোজীগরী নিয়ে বেশ আশাবাদী দেখাল তাঁকে।
আরও পড়ুন, জল্পনার অবসান ঘটাল সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘এক যে ছিল রাজা’র টিজার
শেষ হয়েছে ছবির লুকটেস্টের কাজ, মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে গেল কোজাগরীর শুটিং। ছবিতে দেবলীনা আর গৌরব ছাড়াও রয়েছে রাজেশ শর্মা, সন্দীপ ভট্টাচার্য, রুমকি চট্টোপাধ্য়ায় ও আরও অনেকে।