এনআরএসকাণ্ডে প্রতিবাদে মুখর হয় জুনিয়র ডাক্তাররা। চিকিৎসা ব্যবস্থা অচল হয়ে গিয়েছে কলকাতা শহরে। বারবার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করছিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে আন্দোলনের ৪৮ ঘন্টা পরেও হাসপাতালে জারি অচলাবস্থা। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। এবার ডাক্তারদের সমর্থনে মুখ খুললেন টলিপাড়া।
পরিস্থিতি এখনও থিতোয়নি তার মধ্যেই সকালে এনআরএসে গেলেন অপর্না সেন, কৌশিক সেন, দেবজ্যোতি মিশ্ররা। এদিকে সকালে টুইট করে ফের একবার শান্তির বার্তা দিতে চাইলেন দেব। সবার সুস্থবুদ্ধি ফিরে আসার কামনা করেছেন অভিনেতা সাংসদ। রোগী এবং ডাক্তার দু পক্ষের হয়েই সওয়াল করেছেন তিনি। এদিকে পরিচালক রাজও করা বলেছেন এই প্রসঙ্গে। পিছিয়ে নেই রুদ্রনীল ঘোষও।
যারা আমাদের প্রাণ বাঁচান তাঁরা কেন বারবার মার খাবেন? তাঁদের সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের। আবার তারই সঙ্গে লক্ষ লক্ষ অসুস্থ মানুষ ডাক্তারবাবুদের দিকে তাকিয়ে, আপনারা পাশে না দাঁড়ালে তারা অসহায়। সবার শুভবুদ্ধি ফিরে আসুক, সমস্যার সমাধান চাই।????????
— Dev (@idevadhikari) June 14, 2019
???? pic.twitter.com/LKNgULPnMd
— rajchoco (@iamrajchoco) June 13, 2019
গতকালই টুইট করেছিলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় থেকে ঋদ্ধি সেন। মানবিকতার পাশে রয়েছেন প্রত্যেকে। পরিচালক বলেছেন, ''তোমায় চিনি না, তবু বলছি, দ্রুত ভালো হয়ে ওঠো তুমি l নাগরিক হিসেবে লজ্জিত লাগছে খুব l কার হয়ে জানি না, তবু ক্ষমাপ্রার্থী আমরা l আজকাল কোথাকার রাগ কোথায় প্রকাশ করছে মানুষ!!! ছিঃ!!!'' স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় যেকোন সামাজিক ইস্যুতেই মুখ খোলেন। এদিনও প্রকাশ্যে ডাক্তারদের পাশে রইলেন তিনি। একই মত ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, ঋদ্ধি সেনদের।
তোমায় চিনি না, তবু বলছি, দ্রুত ভালো হয়ে ওঠো তুমি l নাগরিক হিসেবে লজ্জিত লাগছে খুব l কার হয়ে জানি না, তবু ক্ষমাপ্রার্থী আমরা l
আজকাল কোথাকার রাগ কোথায় প্রকাশ করছে মানুষ!!! ছিঃ!!! pic.twitter.com/UJeR629Jvm— Kaushik Ganguly (@KGunedited) June 12, 2019
NRS হাসপাতালের হিংসার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ডাক্তারদের ডাকা স্ট্রাইক কে আমার পূর্ণ সমর্থন।
— Swastika Mukherjee (@swastika24) June 12, 2019
I am with the doctors .... I trust them .. I depend on them ... and respect them
— indraadip das gupta (@iindraadip) June 12, 2019
আরও পড়ুন, ‘কুরুচির রাজনৈতিক পোস্টের বিরোধিতা’য় রুদ্রনীল
প্রসঙ্গত, সোমবার (১০ জুন) রাতে নীলরতন সরকার হাসপাতলে ভর্তি করা হয় বছর আশির মহম্মদ শাহিদকে। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, এদিন বিকেলের পর থেকে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের ডাকাডাকি করলেও তাঁরা সময় মতো আসেন নি। পরিবারের কথায়, চিকিৎসকদের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয় মহম্মদ শাহিদের। এরপরই ট্রাকে করে হাসপাতাল চত্বরে লোক ঢুকিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় ডাঃ পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের। এরপরই নিরাপত্তার অভাবে এবং আক্রমণের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকা ডাক্তাররা কর্মবিরতির ডাক দেন।