ধরুন একটা নাটক দেখছেন, তবে থিয়েটারটা একটু অন্যকরম। ঘরোয়া, ছিমছাম আত্মীয়তার পরিবেশ। প্রশান্তিতে চোখ বুজে আসবে, মন ভরবে। সেই ব্যবস্থাই করেছেন সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। '৩২অশ্বিনী দত্ত রোড' রোজকার জীবনকে একটু আলাদা করে দেখানোর প্রচেষ্টা। বুঝলেন না তো? তালগোল পাকিয়ে গেল কেমন? সোজা বাংলায়, বাচিক শিল্পী সুজয়প্রসাদ থিয়েটারের ভাবনাটাকেই ঘরের মঞ্চসজ্জায় বেঁধেছেন।
একান্নবর্তী পরিবার প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে, তাল মিলিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে বাড়িগুলোয় বেড়ে ওঠা গল্পগুলোও। সেই বাড়ির মানুষদের রোজকার জীবনকে একটু ফিরে দেখার চেষ্টাই '৩২অশ্বিনী দত্ত রোড'। প্রত্যেকটা ঘরই মঞ্চ, দর্শকরা কখনও বৈঠকখানায় তো কখনও বেডরুমে বসে দেখবেন নাটক। নামটা '৩২অশ্বিনী দত্ত রোড', কারণ এই বাড়িই সেই নাটক দেখতে আসার ঠিকানাও বটে। বাড়ির ঘরগুলোকে নাটকের মঞ্চ হিসাবে কাজে লাগিয়েছেন সুজয়। প্রথমবারের তাঁর এই প্রয়াস উপস্থাপিত হয়েছিল ২৯ ডিসেম্বর, তারপরে দ্বিতীয় উপস্থাপনা হয়ে গেল ১৭ ফেব্রুয়ারী, সবটাই দর্শকবন্ধুদের চাহিদায়।
ডাইনিং রুমে নাটকের একটি দৃশ্য।
আরও পড়ুন, দোলে ‘একা নয় একান্নবর্তী’ পরিবার নিয়ে আসছে সঞ্চারী
এই উদ্যোগে সুজয়ের এসপিসি ক্রাফ্টের সদস্যরাই পাশে রয়েছেন। তাঁরাই কাজ করেছেন এই নাটকে। মূল ভাবনার সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশনার দায়িত্ব অবশ্য রয়েছে সুজয়েরই কাঁধে। গান লিখেছেন মধুবন্তী বসু। রবিবার অন্যরকম এই নাট্য প্রযোজনা হয়ে গেল তিনটে, চারটে ও ছ'টার শোয়ে। আাবারও এপ্রিল মাসে ফিরে আসবেন তাঁরা।