৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী নারী দিবস। এবার প্রশ্ন উঠতেই পারে, যাঁরা সংসার সামলান তাঁরা কি শ্রমজীবী নন? ভালবাসার মানুষগুলোর জন্য সারাক্ষণ খেটাখাটনি কি শ্রম নয়? তবে এসব বহু আলোচিত বিষয় থেকে বেরিয়ে মেয়েবেলা নিয়েই কথা বলতে চাইলেন পৃথা। যোগ্য সঙ্গত দিলেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ফল স্বরূপ আজ অর্থাৎ নারী দিবসে মুক্তি পেতে চলেছে 'মুখার্জী দার বউ'।
বাস্তবে মা হতে চলেছেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এর মধ্যেই ক্লান্তি ভুলে 'মুখার্জী দার বউ'-এর কথা বলে চলেছেন অনর্গল। তিনি বললেন, ''সিনেমাটা মুক্তি পাচ্ছে এবার তো ছুটিই ছুটি। তবে কীভাবে থাকব জানি না? কোনওদিন অভ্যেস নেই তো! চেষ্টা করছি, একদিন অন্তর একদিন যদি বেরোনো যায়''। অনেকদিন পর মুখ্য ভূমিকায় বড়পর্দায় আসছেন তিনি। কেমন অনুভূতি? কনীনিকা জানাচ্ছেন, ''সত্যি কথা বলতে, সেই আগের মতো রূপকথার দুনিয়ায় চলে যাইনি। বাস্তবিকভাবেই নার্ভাসনেস কিছুটা আছে, কিন্তু তার থেকেও বেশি যেটা আছে, তা হল এরপর যেন কয়েকটা ভাল কাজ পাই। একটা ভাল কাজ করে তারপরে দেখা গেল তিন-চারবছর কাজই পেলাম না...''।
পৃথার সঙ্গে পরিচালক হিসাবে কাজ করে বেশ সন্তুষ্ট কনীনিকা। তিনি বলছেন, ''ছোট্ট ইউনিট ছিল, কিন্তু শক্তিশালী। ও কাজটা জানে, সে কারণে খুব কম সময়ে শেষ করতে পেরেছি। পৃথা ভীষণ সিস্টেমেটিক এবং সৃজনশীলও''। কিন্তু, নারী দিবসে মুক্তি পাওয়া এই ছবি মেয়েদের কথা বলতে কতটা সাহায্য করবে? কনীনিকা বললেন, ''আমি সাহায্যের কথায় গেলামই না। নিজেদেরই অনেক উপলব্ধি বাকি আছে, যেগুলো আমরা দেখেও এড়িয়ে যাই। ছবিটা দেখলে বোঝা যাবে এটা শুধুমাত্র ক্লিশে সম্পর্কের বেড়াজালে আটকে নেই। বরং পুরো সাইকোলজিক্যাল জার্নিটা রয়েছে এখানে''।
আরও পড়ুন, সিরিজের নাম ‘মেড ইন হেভেন’, কিন্তু বিয়ে ব্যাপারটা তো ‘ম্যান মেড’, বললেন জোয়া
নিন্দুকরা বলেন, উইন্ডোজ বড়পর্দায় ধরাবাহিক তৈরি করে। কনীনিকা বললেন, ''আমার এতে কিছু এসে যায় না। নিন্দুকরা যতদিন এসব বলবে ততদিন কাজটা আরও ভাল হবে। প্লিজ, তারা যেন মুখ বন্ধ না করে। উইন্ডোজ বাঙালি ব্যাতিরেকে অবাঙালি দর্শককেও হলে টেনে নিয়ে যায়। মানুষের আবেগ নিয়ে কাজ তো আর হেলফেলা করা যায় না। মত না থাকলে মতবিরোধ তৈরি হবে না''। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে কাজ করে কেমন অভিজ্ঞতা? কনীনিকা জানাচ্ছেন, ''উনি একজন ভালো মানুষ। অনেক তারকাদের দেখেছি, কিন্তু ঋতুদি প্রত্যেকটি মানুষকে সম্মান দিয়ে, ভালবাসা দিয়ে কথা বলেন। এক মূহুর্তের জন্য মনে করতে দেননি উনি স্টার''।