তৃতীয় সপ্তাহের শুরু হয়েছে শুক্রবার। পুরনো ছবি সরে গিয়ে তার জায়গায় এসেছে নতুন বাংলা ছবি। কিন্তু 'কণ্ঠ' দমানো যায়নি। বক্সঅফিসে নিজের জায়গা ধরে রাখতে সক্ষম হচ্ছে শিবপ্রসাদ ও নন্দিতার এই ছবি। 'হামি'র প্রথম তিন দিনের কালেকশন আর 'কণ্ঠ'র আয় এক ছিল। আয়ের অঙ্কটা ছিল ১১ দিনে ছিল দু'কোটির বেশি। তৃতীয় সপ্তাহেও ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকল। এখন প্রায় আড়াই লক্ষ ছাপিয়ে গিয়েছে ব্যবসা।
যদিও হলের সংখ্যা কিছু কমেছে। দ্বিতীয় সপ্তাহে যা ছিল ৯২, শুক্রবার থেকে বাংলার ৭৭টি প্রেক্ষাগৃহে চলছে 'কণ্ঠ'। উইন্ডোজ সংস্থার এই ছবির ডিস্ট্রিবিউটর বাবলু দামানি বললেন, ''এই সপ্তাহেও চলবে কণ্ঠ। বেশ ভাল সাড়া মিলছে। শুক্রবার থার্ড উইকের শুরুতেও দর্শক হলে গিয়েছে। প্রায় ৮০ শতাংশ সিট ভর্তি হচ্ছে। এভাবে চললে আরও দু'সপ্তাহ থাকবে এই ছবি''।
আরও পড়ুন, Konttho Review: সদর্পে কণ্ঠ ছাড়লেন শিবপ্রসাদ
বুকিং সাইটের ছবিও এক কথাই বলছে।
টিকিট বুকিং সাইটের ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে এই ছবি। শিবপ্রসাদ-নন্দিতার ছবি মানেই সিনেমাহল হাউসফুল, ৫০-১০০ এমনকী ২০০ দিনও পার করে যাবে এসবে অভ্যস্থ বাঙালি দর্শক। ছবিটা মুক্তি পাওয়ার এক সপ্তাহ আগে শুরু হয়ে গিয়েছিল অগ্রিম বুকিং, কেবলমাত্র ট্রেলার দেখেই মালয়ালমে বিক্রি হয়ে গিয়েছে ছবির স্বত্ত্ব।
১৯৯৯ সালে টেলিভিশনে কাজ করার সময়ে বাগযন্ত্রের ক্যানসারে আক্রান্ত বিভূতি চক্রবর্তীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল শিবপ্রসাদের। তখন থেকেই ভেবেছিলেন সিনেমা তৈরি করবেন এই চরিত্রকে নিয়ে। এতদিনে বাস্তবায়িত হয়েছে তাঁর স্বপ্ন। মূলত কর্কট রোগ সম্পর্কে সতর্কীকরণের জন্যই তৈরি হয়েছে এই ছবি।
আরও পড়ুন, বকেয়া টাকা নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কি আর্টিস্টস ফোরাম?
তবে বক্স অফিস যা বলছে তাতে আবারও ছক্কা হাঁকালেন শিবপ্রসাদ-নন্দিতা। নন্দিতা রায়ের চিত্রনাট্যে শিবুর অভিনয় ও পরিচালনা মনে ধরেছে সিনেপ্রেমী মানুষের। তার ছাপ পড়ছে প্রেক্ষাগৃহে। তুলনায় কম বাংলা ছবি দেখা বাঙালির ভিড় করছেন সিনেমাহলে।