দেব এবং কুণাল, এই দুজনের মধ্যে শেষ কিছুদিন ধরে যা চলছে সেকথা অনেকেরই জানা। দুজনে দুজনকে যেভাবে সমাজ মাধ্যমে শব্দের আক্রমণ শুরু করেছিলেন, তাতে অনেকেই ভেবেছিলেন, একটি রাজনৈতিক দলের অন্দরে দুজন ব্যক্তির মধ্যে টানাপোড়েন মোটেই ভাল কথা নয়।
কী হয়েছিল আসলে?
ঘাটালের একটি হাসপাতালের ডায়ালিসিস ইউনিট উদ্বোধন নিয়েই বচসা বাড়তে থাকে দুজনের মধ্যে। ওই একই ইউনিট মুখ্যমন্ত্রী ১২ই মার্চ উদ্বোধন করেছেন। কিন্তু, দেব ফের একবার সাংসদ হওয়ার পর সেই ইউনিট উদ্বোধনে তাঁর নাম ব্যবহার করা হয়। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে গলা ফাটান তিনি।
সেই নিয়েই শুরু হয় বাক বিতন্ডা। একটা সময় দেখা গেল সেই বচসার প্রভাব গিয়ে পড়ল টেক্কা ছবির ওপরেও। দেখা গেল, পোস্টারে আমার মেয়েকে ফেরাবে কে, এই লেখা দেখেই রেগে আগুন কুণাল ঘোষ। বর্তমান রাজ্য পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই যে এমন পোস্টার, সেই নিয়েই আওয়াজ তুললেন তিনি। কিন্তু, দেব একদম ভিন্ন মানুষ।
আঁচ পেতেই দেখা গেল রাতারাতি প্রচারের ভাষা পাল্টে দিলেন তিনি। কিন্তু, অভিনেতা যেই টেক্কার ট্রেলার লঞ্চ করলেন, সঙ্গে সঙ্গে কুণাল ঘোষ তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন। রাজনী
তিবিদ সব দ্বন্দ ভুলে টেক্কার জন্য দেবের প্রশংসা করলেন। তিনি লিখছেন, "দেব-সৃজিত এবং টেক্কার পুরো টিমকে আগাম শুভেচ্ছা। কয়েক ঝলক দেখেই বোঝা যাচ্ছে, বাংলা সিনেমার নতুন ঝাঁঝ এবং স্বাদ আছে। টেক্কা সফল হোক। দর্শক হলে গিয়ে দেখুন।"
আর দেব নিজেও পিছিয়ে নেই। তিনি সহজেই কুণালদার শুভেচ্ছায় আপ্লুত। সেই বার্তা শেয়ার করেই লিখলেন, ধন্যবাদ কুণালদা। সঙ্গে একটি চুমুর ইমোজি জুড়েছেন। কিন্তু, এসব দেখেই একদল রেগে আগুন। তাঁরা যেন এই দ্বৈত রাজনীতি বুঝতে পারলেন না। তাঁরা বলছেন, এদেরকে কিছু বলেই লাভ নেই, ফের দুজনে দুজনের পিছনে লাগবেন।
উল্লেখ্য, এই ছবিতে দেবের চরিত্র একদম ভিন্ন। তিনি, এক সাফাইকর্মীর ভূমিকায় রয়েছেন এই ছবিতে। সঙ্গে রয়েছেন মায়া, রুক্মিণী মৈত্র। এবং ইরা স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।