প্রয়াত অভিনেত্রী ললিতা চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাঁকে। বুধবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী।
১৯৬৪ সালে বিভাস ছবির হাত ধরে অভিনয় জগতে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। উত্তরকুমারের বিপরীতে তাঁর অভিনয় মন ছুঁয়ে যায় সকল দর্শকের। এরপর একে একে মোমের আলো, মেমসাহেব, অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি, হার মানা হার, জয় জয়ন্তী ছবিতে উত্তমকুমারের সঙ্গে অভিনয় করছেন তিনি। শুধুমাত্র বাংলা ছবিই নয়, আন্ধেরি থি, আপ কি কসম, তলাশ এবং ভিক্টোরিয়া নং ২০৩-এর মতো একাধিক হিন্দি ছবিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। শুধু সিনেমায় নয়, বেশ কিছুদিন যাত্রাপালাতেও অভিনয় করেছেন ললিতা চট্টোপাধ্যায়।
গৌতম ঘোষ পরিচালিত শূন্য অঙ্ক ছবির মধ্যে দিয়ে অভিনেত্রী আবারও লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের জগতে ফিরেছিলেন। তাঁর বিপরীতে ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এরপর আবার শবর ছবিতে দেখা মিলেছিল তাঁর। ললিতা চট্টোপাধ্যায় অভিনীত শেষ ছবি আদিত্যবিক্রম সেনগুপ্তর জোনাকি। সেখানেও তাঁর অভিনয় মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।
উচ্চশিক্ষিত ললিতা চট্টোপাধ্যায় প্রথম জীবনে শিক্ষকতার কাজ করেছেন। ৬-এর দশকে তিনি কেরিয়ারের দ্বিতীয় ইনিস শুরু করেন। তারপর থেকে অভিনেত্রী হিসেবেই সুনাম কুড়িয়েছেন জীবনভর। তাঁর প্রয়াণে শোকগ্রস্ত চলচ্চিত্রমহল।