দিদি বোনের মধ্যে যে কি নিদারুণ সম্পর্ক হয়, তার যেন আসল প্রমাণ ছিলেন আশা এবং লতা। একজন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিত ছিলেন লতা দিদি নামে, আরেকজন পরিচিত ছিলেন আশা তাই নামে। দিদির পা ধোয়া জল পর্যন্ত খেতেন আশা। তাই তো, তাঁর দেওয়া শেষ উপহার আজও সামলে রেখেছেন তিনি।
মারা যাওয়ার ছয়মাস আগেই লতা আশাকে দিয়েছিলেন এক মনোমুগ্ধকর উপহার। যা আজও নিজের প্রাণের কাছে জড়িয়ে রেখেছেন তিনি। সকলের সামনেই এনেছিলেন সেই গিফট। কী এমন দিয়েছিলেন লতা? দিদির সম্পর্কে কোনও কথা বলার যোগ্যতাই তাঁর নেই। আশা বলেছিলেন, ভারতরত্নকে নিয়ে আমার বলার কোনও যোগ্যতা নেই। দিদি নাকি গাঁড় গানও শুনতেন না, জোর করে তাঁকে শোনাতে বসতেন গান। প্রয়াত কিংবদন্তির এমন একটি ছোঁয়া নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন তিনি। বললেন...
আরও পড়ুন < গায়ে আঁটছিল না জার্মানদের বড় জামা, অতঃপর ছোটদের জামা কিনেই ফিরে আসেন রবি ঘোষ! >
"দিদি মারা যাওয়ার ছয়মাস আগে, আমায় একদিন ডেকে বলেন, আজ তোর কী চাই বল? তোর মনের যা ইচ্ছে আজকে আমার কাছ থেকে চেয়ে নে। আমি তখন ভাবতে বসলাম যে কী চাওয়া যায়? অনেক ভেবে বললাম, আমায় তোমার একটা শাড়ি দাও, তাও তোমার সাইন করা। দিদি তৎক্ষণাৎ সেই শাড়িটা দিয়ে দিলেন আমায়। আমি সঙ্গে করে নিয়েও এসেছি।"
সারেগামাপা এর মঞ্চেই এই শাড়ি সকলের সামনে এনেছিলেন আশা। তাতেও হাত বুলিয়ে দেখেন অন্যান্য কলাকুশলীরা। লতাজীর শাড়ি বলে কথা, একবার না ছুঁয়ে দেখলে হয়? সারাজীবন এই উপহার সঙ্গে করেই রাখবেন তিনি, জানালেন সেও।